আসলে সেই ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে নবদম্পতির হতাশার চিত্রটা। যে ঘরটিতে ওই বিশেষ রাতের ব্যক্তিগত মুহূর্তটি উপভোগ করার কথা ছিল নববধূ আর তাঁর বরের, সেই ঘরটিই চলে গেল বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের দখলে। দেখা যায়, রীতিমতো বিছানা দখল করে শুয়ে রয়েছেন আত্মীয় বা অতিথিরা। এদিকে তা-ও বরের কপালে জুটেছে ঘরের এক কোণে রাখা একটি চেয়ার। অন্য দিকে নববধূকে তো ওই ঘরের মেঝের উপর পড়ে বিছানায় হেলান দিয়ে কোনও রকম জবুথবু হয়ে ঢুলতে দেখা গিয়েছে। এমনকী বর-কনে নিজেদের পরনে থাকা বিয়ের বেশও বদলাতে পারেননি। এই ভিডিওটিতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁদের বিশেষ রাতের বিশেষ মুহূর্তের জন্য তুলে রাখা স্বপ্ন ভাঙার জ্বালা।
advertisement
আরও পড়ুন– বান্ধবীকে বিয়ে করতে চান, লিঙ্গ পরিবর্তনের আবেদন দিল্লি পুলিশের মহিলা কনস্টেবলের
শুধু তা-ই নয়, ভিডিও থেকে এ-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিবেচনাবোধ এবং বিবেকবোধের বড়ই অভাব। ওই নববিবাহিত দম্পতির মনে যে কী চলছে, তা নিয়ে এতটুকুও বিচলিত নন তাঁরা। বরং বর-কনের কথা না ভেবে নিজেরা দিব্যি আরামেই ঘুমিয়ে নিচ্ছেন। তবে এহেন পরিস্থিতি সত্ত্বেও সব কিছু একপ্রকার মুখ বুজে সহ্য করেছেন নবদম্পতি। তাঁরা প্রতিবাদ পর্যন্ত করেননি। উল্টে নিজেদের অসুবিধা সত্ত্বেও ছেড়ে দিয়েছেন ঘরের বিছানাটি। আর একজন মেঝেতে এবং আর এক জন চেয়ারে বসে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে foofaji নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ভিউ পার করেছে ভিডিওটি। সেই সঙ্গে জমেছে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়াও। বিয়ের পরম্পরা রীতি আচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এমনকী এ-ও বলেছেন যে, সকলেরই ওই নবদম্পতির গোপনীয়তাকে সম্মান করা উচিত। সেই সঙ্গে এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, উদযাপন আনন্দের জন্য হলেও, নবদম্পতির চাহিদা এবং প্রত্যাশার প্রতি সংবেদনশীল থাকা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ।