বাড়তে থাকা করোনা গ্রাফের কথা মাথায় রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (Islamic Centre of India) ও বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিরাপদ ও সুস্থ থাকার জন্য প্রোটোকল জারি করেছে। ‘হু’-এর (WHO) বার্তায় উঠে এসেছে মূলত অতি ভিড় এলাকা, যেমন মার্সি টেবিল এড়ানো উচিত। এছাড়াও বলা হয়েছে, সাধারণত রমজান চলাকালীন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা মসজিদে জাকাত অর্থাৎ দান করে থাকেন, সেটা খাবারও হতে পারে আবার আর্থিক সাহায্য হতে পারে। সেই সব দান মসজিদ কর্তৃপক্ষ আবার দুঃস্থদের দান করেন। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে রান্না করা বা প্যাক করা খাবার দানের জন্য না দিয়ে দানের অর্থ COVID-19 টিকাকরণের জন্য ব্যবহার করা হোক। রমজানের উপবাসের সময়ে বেশিরভাগ মুসলমান দিনের বেলা খাবার এবং পানীয় থেকে বিরত থাকেন। সেক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে ‘সুহুর’ অর্থাৎ ভোরের খাবার এবং ইফতারের খাবার আয়োজনের জন্য একত্রিত না হয়ে সেগুলিকে ভার্চুয়াল ভাবে পালন করা উচিত।
advertisement
ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়া-র (Islamic Centre of India) নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-
রমজান মাসে রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব, সুতরাং সকলকে অবশ্যই রোজা পালন করতে হবে। মসজিদে মসজিদে তারাভিহ-র (Tarawih) একটি পূর্ণ এবং আরেকটির অর্ধেক অনুচ্ছেদ পড়লেই চলবে। রমজান পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা থাকছেন, রাতের কারফিউ শুরু হওয়ার আগে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে যেতে হবে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- কোনও মসজিদে ১০০ জনের বেশি লোকের ভিড় করা চলবে না। নামাজের সময়ে সকলের মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে কি না, সে দিকে প্রতিটি মসজিদকে নজর দিতে বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।