আরও পড়ুন– আইআইটি বম্বের পড়াশোনা ছেড়ে সন্ন্যাস, মহাকুম্ভে ‘IIT Baba’-র জীবন দর্শনে মুগ্ধ ভক্তরা
বেঙ্গালুরুতে জন্ম বিজয় কিরণ আনন্দের। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পরীক্ষায় পাশ করেছেন। বাগপত জেলায় এসডিএম হিসেবে প্রথম পোস্টিং পেয়েছিলেন বিজয় কিরণ। সেখানে তিনি ২ বছর দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর বরাবাঁকি জেলায় চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসারের পদে তাঁকে বদলি করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি মইনপুরি, উন্নাও, ফিরোজাবাদ, বারাণসী এবং শাহজাহানপুরের জেলা কালেক্টর পদের দায়িত্ব সামলেছেন বিজয় কিরণ। ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে যথাক্রমে মাঘ মেলা এবং অর্ধ কুম্ভ মেলার অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। চলতি বছর মহাকুম্ভ ২০২৫-এ চিফ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন– মহাকুম্ভের আসরে তাঁকে দেখে হইচই পড়ে গিয়েছে ! কে এই হর্ষা? সত্যিকারের সাধ্বী না অন্য কেউ
দারুণ অভিজ্ঞতা:
দুর্ধর্ষ অভিজ্ঞতার কারণে ২০২৪-এর ইভেন্টের জন্য বিজয় কিরণ আনন্দকে মেলা অধিকারী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। আবার গোরক্ষপুরের ডিএম থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে প্রাইম মিনিস্টারজ অ্যাওয়ার্ড ২০২০ দিয়ে সম্মানিত করেছেন। সিভিল সার্ভিসেস ডে-তে তাঁর হাতে একটি স্মারক আর উদ্ধৃতি তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মহাকুম্ভের দ্বিতীয় স্নানের উৎসব আর মকর সংক্রান্তি একসঙ্গে পড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবারই আখড়ার সাধুদের অমৃত স্নান শুরু হয়ে গিয়েছিল। মেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, গঙ্গা এবং সঙ্গমে প্রায় ৩.৫০ কোটি পুণ্যার্থী পুণ্য স্নান সেরেছেন।
আরও পড়ুন– কনকনে শীতের দেখা কবে মিলবে বাংলায়? আগামী চার-পাঁচ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের অমৃত স্নান:
দীর্ঘ ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের অমৃত স্নান সম্পন্ন হয়েছে। শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহানির্বাণী এবং শ্রী শম্ভু পঞ্চায়েতি অটল আখড়ার সাধুরা সঙ্গমে প্রথম অমৃত স্নান শুরু করেছিলেন। তাঁদের মুখে ছিল হর হর মহাদেব ধ্বনি। অমৃত স্নানের পর মহানির্বাণী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর চেতন গিরিজি মহারাজ সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন যে, প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগরাজে পূর্ণ কুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়। আর ১২টি পূর্ণ কুম্ভের পর এই মহাকুম্ভ আসে প্রায় ১৪৪ বছর পরে। এই মহাকুম্ভে যাঁরা স্নান করার সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা খুবই সৌভাগ্যবান।