জানা গিয়েছে, জয়পুরের বিধাধরনগর থানার পুলিশ আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারকদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ওই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে একটি উন্নত প্রযুক্তির মডিফাইড কম্পিউটার সিস্টেম, একটি ল্যাপটপ, রাউটার, দু’টি হেডফোন, দু’টি ইয়ারবাড, তিনটি Apple iPhone-সহ বেশ কিছু দামি স্মার্টফোন, সাতটি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড। পুলিশের দাবি, এদের কাছে দেশি-বিদেশি ১৫ কোটিরও বেশি মানুষের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর নাম। ২ কোটিরও বেশি মানুষের পাসওয়ার্ড এবং এক কোটিরও বেশি মানুষের আধার কার্ডের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন– রাশিফল ১৩ জানুয়ারি; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
ডিসিপি উত্তর, রাশি ডোগরা জানান, ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। অথচ, এরা সকলেই মাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বিহার, তেলঙ্গানা, জামতাড়ার সাইবার জালিয়াতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই এরা হ্যাকিংয়ের কৌশল শিখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর সাইবার প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ হয়ে নিজেরাই কারবার শুরু করে। ধৃতরা YouTube-এ হ্যাকিং ভিডিও দেখেও কিছু কৌশল রপ্ত করেছিল বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দলটি খুবই চতুর। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের অনলাইন লোকেশন বাউন্স করাত, যাতে তাদের সঠিক অবস্থান সনাক্ত না করা যায়। বিভিন্ন সফ্টওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ক্র্যাক করে ফেলত। তারপর সেখান থেকে তথ্য চুরি করে আন্তর্জাতিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের ডেটা এবং অন্য ব্যক্তিগত তথ্য বের করে নিত।
বিধাধরনগর থানা এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকত এরা। স্থানীয়দের দাবি, এরা কোনও দিন কোনও কাজ করতে যেত না। কিন্তু প্রতিদিনই বাড়িতে অনলাইন ডেলিভারি পার্টনাদের ভিড় লেগে থাকত। তা থেকেই সন্দেহ হয় সকলের। খবর পেয়ে পুলিশ টানা ১০ দিন বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়। তারপর গ্রেফতার করা হয় চারজনকে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে, এরা ডিসকর্ড অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে স্ক্রিন শেয়ারিং থেকে প্রতারণা করত। হাতানো টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ডেবিট বিনিয়োগ করা হত। সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যেও অভিযোগ রয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন