এই লাইব্রেরিতে ১৬ লাখ বইয়ের এক অনন্য সংগ্রহ রয়েছে। এর পাশাপাশি, ১০০০ বছরেরও বেশি পুরনো অনেক পাণ্ডুলিপি রয়েছে। শুধু তাই নয়, এখানে সরকারি নথি এবং গবেষণাপত্রের একটি বিশাল সংগ্রহও সংরক্ষিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক ডি কে সিং বলেন যে, বইয়ের সংগ্রহের ভিত্তিতে এই লাইব্রেরিটি দেশের বৃহত্তম লাইব্রেরি। বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা অনুসারে, সমগ্র এশিয়ার কোথাও এত বড় লাইব্রেরি নেই। এখানে ১২,৫০০টিরও বেশি পাণ্ডুলিপি, ১৩,৭৯৫টি জার্নাল এবং লাখ লাখ শিশু চিকিৎসার বই রয়েছে।
advertisement
প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষ এটি ব্যবহার করেন-
বিএইচইউ-এর এই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি আরও অনেক দিক থেকেই বিশেষ। এই গ্রন্থাগারটি লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য একটি গোল টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষ এই গ্রন্থাগারটি ব্যবহার করেন। যার মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকরাও রয়েছেন। এই গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ভাষায় লেখা লাখ লাখ বই রয়েছে।
পূর্বে বিএইচইউ-এর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি এখানে ছিল-
তথ্য অনুসারে, এই গ্রন্থাগারের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন মহামান্য পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য ১৯১৭ সালে। সেই সময় এর অবস্থান এবং রূপ সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। ১৯১৭ সালে, এই গ্রন্থাগারটি সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুল কামছায় ছিল। পরে এটি বিএইচইউ ক্যাম্পাসের শিল্প অনুষদের সেন্ট্রাল হলে আনা হয়েছিল।
এখান থেকেই ধারণাটি পেয়েছিলেন-
১৯৩১ সালে, যখন পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য লন্ডনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল সম্মেলনে যোগদানের পর ফিরে আসেন, তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুরূপ একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি মহারাষ্ট্রের বরোদার মহারাজা সয়াজিরাও গায়কোয়াড়ের কাছ থেকে এর জন্য সাহায্য চান। তারপর লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম লাইব্রেরির আদলে বিএইচইউতে এই লাইব্রেরিটি তৈরি করা হয়েছিল।