বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এক মহিলা পুরনো প্রেম ফিরে পেতে গিয়ে ঘটিয়ে বসেছেন এমনই কাণ্ড। প্রাক্তন প্রেমিকের ভালবাসা ফিরে পেতে রীতিমতো সাধনা করতে চেয়েছিলেন তিনি। বড়সড় মূল্য চোকাতে হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, বছর ২৫-এর ওই মহিলার বাড়ি জালাহাল্লি এলাকায়। এক তান্ত্রিকের পাল্লায় পড়ে তাঁকে ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খোয়াতে হয়েছে।
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
advertisement
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর তিনি ইন্টারনেটে আহমেদ নামে এক জ্যোতিষীর খোঁজ পান। জ্যোতিষী সব ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। মহিলার দাবি, আহমেদের সঙ্গে তার দুই সহযোগী আব্দুল এবং লিয়াখাতুল্লাও উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন- স্পষ্ট ‘বেবিবাম্প’! বিয়ের ১০ মাসেই ঘটা করে সাধ খেলেন মোহর, হবু মা-কে আলিঙ্গন দুর্নিবারের, রইল ছবি
আহমেদ দাবি করেছিল, ওই মহিলা তাঁর পরিবার এবং প্রেমিকের উপর কেউ ‘কালাজাদু’ করেছিল বলেই তাঁদের সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়, এবং তা ভেঙে যায়। এই কালাজাদু কাটানোর জন্য কিছু আচারানুষ্ঠান পালনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। বলা হয়, এজন্য লাগবে মাত্র ৫০১ টাকা।
মহিলা ওই টাকা জ্যোতিষীকে দেন ডিজিটাল মাধ্যমে। তারপর আহমেদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা মহিলার প্রেমিক ও পরিবারের সদস্যদের ছবি চেয়ে নেয় বলে দাবি।
এরপরেই আসে আসল প্রস্তাব। ওই মহিলাকে বলা হয় তাঁর বাবা মা, যাতে এই সম্পর্ক মেনে নেন এবং প্রেমিকও তাঁর কাছে ফিরে আসেন সেজন্য তাঁদের তিন জনের উপরই পাল্টা কালাজাদু প্রয়োগ করতে হবে। সেজন্য খরচ হবে ২.৪ লক্ষ টাকা। রাজি হয়ে যান ওই মহিলা। গত ২২ ডিসেম্বর সেই টাকা আহমেদের সহযোগীদের কাছে নগদে তুলে দেন তিনি।
এরপর থেকে শুরু হয় আরও টাকার দাবি। কয়েকদিন পর আহমেদ আরও ১.৭ লক্ষ টাকা দাবি করে। ততদিনে ওই মহিলা নিজের ভুল বুঝতে পারেন। টাকা দিতে অস্বীকার করেন।
তখ আহমেদ ওই মহিলা ও তাঁর প্রেমিকের অন্তরঙ্গ ছবি বাবা-মায়ের কাছে প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা চাইতে শুরু করে। একাধিক বার ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা দিতে হয় মহিলাকে। তাঁর দাবি ১০ জানুয়ারির মধ্যে তিনি ৪.১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত মহিলার বাবা, মা-ই তাঁকে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন। জালাহাল্লি থানায় দায়ের হয় এফআইআর। তদন্তে জানা যায়, আহমেদের সহযোগী লিয়াখাতুল্লার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফোনে আহমেদ দাবি করেছেন ওই মহিলাই তাঁকে কালাজাদু করতে বাধ্য করেছে। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে সে। কিন্তু তারপর থেকে সেই ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাকে আর খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।