ঘটনাটি গদচিরোলি জেলার কোরচি তালুকের। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। বড় বোন সন্ধ্যা টিভি দেখছিল। ইতিমধ্যে ছোট বোন সোনালী তার প্রিয় চ্যানেলটি চালু করে। কিন্তু সন্ধ্যা টিভির রিমোটটি নিয়ে চ্যানেলটি পরিবর্তন করে, ফলে দুই বোনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সোনালী রিমোট ফেরত চায়। কিন্তু সন্ধ্যা দিতে চায়নি। বহু তর্কের পর সোনালী চুপচাপ অন্য ঘরে চলে যায়। তারপর পিছনের মাঠে গিয়ে নাইলনের দড়ির ফাঁস বেঁধে আত্মহত্যা করে। পরিবার যখন বুঝল, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
advertisement
সোনালী, সন্ধ্যা এবং তাদের ভাই সৌরভ তিনজনই গোন্ডিয়া জেলার কোঙ্কনার একটি বেসরকারি আশ্রম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে তারা গ্রাম বোদেনায় এসেছিল। তার বাবা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন এবং তার মা ছিলেন চার সন্তানদের একমাত্র লালন-পালনকারী। মা তার ছোট ছেলে শিবমকে নিয়ে গ্রামে ছিলেন। যখন সে এই কথা জানতে পারল, তখন তার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ইন্সপেক্টর শৈলেশ ঠাকরে, সাব-ইন্সপেক্টর দেশমুখ এবং কোরচি থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।