বার বার রোগীমৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তারদের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনার ঘটছে ৷ নিরাপত্তার দাবিতে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ এ দিন পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এবার থেকে জরুরি বিভাগের প্রতিটি তলায়, ওয়াকিটকি নিয়ে থাকবে পুলিশ। এছাড়াও থাকবেন বিশেষ প্রশিক্ষিত আটজন সিভিক ভলান্টিয়ার। ৩০ অগাস্ট রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলবে ৷
advertisement
আরও পড়ুন
LIC পলিসি হোল্ডারদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এইসব স্কিম
এমনিতেই রবিবার। তার উপর ঘণ্টা দুয়েক ধরে বন্ধ জরুরি বিভাগ। অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় এনআরএসে মৃত্যু হয় ভর্তি থাকা ৩ রোগীর। ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকালে। তপসিয়ার বাসিন্দা, বছর সাঁইত্রিশের পারভেজ হোসেন বুকে ব্যথা নিয়ে প্রথমে যান ন্যাশনাল মেডিক্যালে৷ অভিযোগ সেখানে চিকিৎসা মেলেনি ৷ তখন রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএসে ৷ পরিবারের দাবি, এখানে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যুবকের মৃত্যু হয় ৷
আরও পড়ুন
এক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ লাভবান হতে চাইলে বিনিয়োগ করুন এই স্কিমগুলিতে
রোগীর আত্মীয়-প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়াতেই মৃত্যু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, রোগীর প্রতিবেশীরা তাঁদের মারধর শুরু করেন। রেহাই পাননি মহিলা জুনিয়র ডাক্তাররাও। একজন জুনিয়র ডাক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় বলেও দাবি। পাল্টা মৃতের পরিবারের দাবি, তাঁদের উপরেই চড়াও হন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এই চাপানউতোরের মাঝেই, দুপুর একটা নাগাদ জরুরি বিভাগ যে ভবনে, তার দুটি গেটই জুনিয়র ডাক্তাররা বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। তখন চরম ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আসা যুবকও জরুরি বিভাগে ঢুকতে পারেননি। প্রতিবাদে ওই যুবককে স্ট্রেচারে শুইয়েই, হাসপাতালের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে যায় এন্টালি থানার পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে যুবককে ভর্তি করা হয়।