আরও পড়ুন- ট্রেনের রিজার্ভেশন পেতে নাজেহাল? সুখবর! ২০ জানুয়ারি থেকে এমনিই চড়তে পারবেন, জানুন বিশদে!
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কনপাখরি সরকারপাড়া এলাকার এই ব্যক্তির জীবনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চোখে দেখতে না পাওয়া। কিন্তু এর মধ্যেও তিনি নিজের শক্তি, সাহস আর জীবনের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি যে মাছ ধরেন, সেটা কেবল জীবিকার মাধ্যমই নয়, তার দীর্ঘ ৩০ বছরের সংগ্রামের ফলস্বরূপ। নবীন মালাকার একজন প্রথাগত মাছধারী হিসেবে পরিচিত হলেও, তার জীবনে এক অদ্ভুত সংকট ছিল। চোখে দেখতে না পাওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনও নিজের অক্ষমতাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখেননি।
advertisement
আরও পড়ুন- বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে ফেলে রাখুন এই ‘এক টুকরো’ কাঠ…! সারাজীবন পরিষ্কার থাকবে জল, অবিশ্বাস্য!
বরং, তার শক্তি ছিল তার স্মৃতি ও শারীরিক দক্ষতায়। সঙ্গী তার লাঠিতার সঙ্গে সব সময় থাকে, যার সাহায্যে তিনি নদীর তলায় সঠিকভাবে নেমে মাছ ধরেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে এই কাজ করে তিনি একদিকে সংসার চালিয়েছেন, অন্যদিকে নিজের পরিবারকে শক্তির উৎস হিসেবে ধরে রেখেছেন। তার তিনটি ছেলে-মেয়ে, যারা এখন বড় হয়েছে, তাদের জীবনে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তার সংসারে আগের মতো এখন আর কেউ তাকে সাহায্য করতে আসে না। তবে, নবীন মালাকারের মনোবল অটুট। তিনি কখনও ভাবেননি, \”আমি পারবনা,\” বরং তার বিশ্বাস ছিল যে জীবনের সমস্ত কঠিন সময় কাটিয়ে সে তার প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করবে। আজও তিনি নদীতে নেমে মাছ ধরেন।
তাঁর জীবন যেন এক দৃষ্টান্ত, যেখানে কঠিন বাস্তবতা এবং অন্ধকারের মধ্যে থেকেও মানুষের ইচ্ছাশক্তি অটুট থাকে। নবীন মালাকার তার গল্পের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনওই একজন মানুষের শক্তি ও সক্ষমতার প্রতিবন্ধক হতে পারে না।
সুরজিৎ দে