বৃষ্টি বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের ঘোষণা করেন। নিজের হাতে চেক তুলে দেন স্বজনহারাদের পরিবারের হাতে। মঙ্গলবারই তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে ফের উত্তরবঙ্গে আসবেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানান, পঞ্চায়েত মন্ত্রী-সহ অন্যমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উত্তরবঙ্গে থাকছেন। তিনিই ত্রাণ বিষয়টি তদারকি করবেন। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার ফিরে এলেও, ফের তিনি যাবেন আগামী সপ্তাহেই। কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দ্রুত গতিতে চলেছে উদ্ধার কাজ। উদ্ধার কাজ প্রায় শেষের দিকে। মিরিকে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর কাজ চলছে। মমতা জানান, নাগরাকাটা ব্রিজের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে অস্থায়ী রাস্তা তৈরির কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, পাইপের মাধ্যমে একটি অস্থায়ী ব্রিজ ১৫ দিনের মধ্যে তৈরি করে দেওয়া হবে।
advertisement
বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মুকে মঙ্গলবার হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘প্রশাসনকে না জানিয়ে ৪০-৫০ টি কনভয় নিয়ে হাজির বিজেপি নেতারা। আমি দেখে এসেছি, কর্তব্য পালন করেছি। কানের পিছনে অল্প লেগেছে। আমি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি, উনি ভাল আছেন।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসকেরা দুর্গতদের জন্য অতিরিক্ত ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেজও পাঠাচ্ছেন। আমরা সর্বদা সকল পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখছি। প্রত্যেকটি মানুষের জীবন আমাদের কাছে মূল্যবান। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার নিশিদিন উত্তরবঙ্গের সকল মানুষের পাশে আছে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি – এই সকল দুর্যোগ-দুর্ভোগ কেটে যেন পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।’