স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেজিনা বেগম এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, সকাল আটটার সময় এলাকাবাসী লক্ষ্য করেন—নবজাতকটিকে বাড়ির পাশেই মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। দৃশ্যটি দেখে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেন।
advertisement
ঘটনার পর থেকেই শিশুটির মা রেজিনা বেগম পলাতক। পরিবার সূত্রে জানা যায়, নবজাতকের বাবা জিয়ারুল হক প্রতিদিনের মতো সকালে ব্যবসার কাজে বেরিয়ে যান। স্থানীয়দের দাবি, শিশুটির মৃত্যু অস্বাভাবিক এবং পুরো ঘটনাই রহস্যে ঘেরা। কেন জন্মের পরপরই শিশুটিকে মাটিতে পুঁতে রাখা হচ্ছিল—তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! ডিসেম্বরেই লাগবে ‘জ্যাকপট’, বৃহস্পতির দুরন্ত চালে অর্থ-সৌভাগ্য তুঙ্গে মেষ-সহ ৪ রাশির
খবর পেয়ে ক্রান্তি ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকের দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় , জন্মের পরই মা শিশুটিকে মেরে ফেলে পুঁতে রাখার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা দেখে ফেলায় তিনি শিশুটিকে তুলে বাড়ির গোয়ালঘরে রেখে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কমলা রায় জানান, গর্ভাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলেও রেজিনা তা কখনও পরিষ্কারভাবে স্বীকার করতেন না। ধলাবাড়ি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মী সীমা দাস জানান, প্রেগন্যান্সি টেস্টের জন্য দেওয়া ইউরিন কার্ডে রেজিনা জল ব্যবহার করেছিলেন। অভিযোগ, তিনি পুরো গর্ভাবস্থাই লুকিয়ে রেখেছিলেন।
