আরও পড়ুন: হারিয়ে যেতে বসা হ্যারিকেন বাড়াচ্ছে ঘরের শোভা! আপনিও চেষ্টা করতে পারেন
ব্যাডমিন্টন তথা বাস্কেট বল খেলে ইতিমধ্যেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন দার্জিলিঙের বাসিন্দা অঙ্কিত প্রধান। ২০১৫ সালে ভয়াবহ এক বাইক দুর্ঘটনায় দু’টি পা মারাত্মকভাবে জখম হয় তাঁর৷ তবে লড়াই ছাড়েননি তিনি৷ অভাব-অনটনের মধ্যেও শারীরিক বাধাকে অতিক্রম করে তিনি খেলার দুনিয়ায় নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন৷ জাতীয় স্তরের প্যারা ব্যাডমিন্টন এবং বাস্কেটবল প্রতিযোগিতাতেও জায়গা করে নিয়েছেন অঙ্কিত। কিন্তু আধুনিক হুইলচেয়ার না থাকাটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনিতেই তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যায় করতে হয়েছে পরিবারকে৷ ফলে পরিবার যে কিনে দেবে সেই সামর্থ্য ছিল না।
advertisement
বিশেষভাবে সক্ষম এই খেলোয়াড়ের খবর পান বিধায়ক নীরজ জিম্বা৷ জানতে পারেন অঙ্কিতের আর্থিক প্রতিকূলতার কথাও। এরপরই তিনি উদ্যোগ নেন একটি অত্যাধুনিক হুইলচেয়ার কিনে দেওয়ার। কিন্তু তার যে দাম অনেক। বিধায়ক তহবিল থেকে সে টাকা খরচ করলেও মুশকিল। আর তাই কী করা যায় ভাবতে গিয়ে মনে পড়ে তাঁর প্রিয় মোটর বাইকটির কথা৷ সাধের এই বাইকটি তিনি বিক্রি করেন প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। বিদেশ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করে আনা হয় এই হুইলচেয়ারটি৷ তারপর নিজে অঙ্কিতের বাড়ি পৌঁছে তাঁর হাতে তুলে দেন সেটি৷ এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নীরজ বলেন, ‘আমি অঙ্কিতকে কথা দিয়েছিলাম একটা হুইল চেয়ার দেব। আগামী সপ্তাহে ওর চণ্ডিগড়ে একটি ম্যাচ আছে ৷ তাই বিদেশ থেকে এই অত্যাধুনিক হুইলচেয়ার আনতে হয়েছে। বিধায়ক তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। সেজন্য নিজের বাইক বিক্রি করি আর সেই টাকা দিয়ে হুইলচেয়ার কিনি। খুব ভাল খেলোয়াড় অঙ্কিত। সাহায্য না করলে প্রতিভাটা নষ্ট হতো। পাশাপাশি আমি বিধায়ক তহবিল থেকে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেব ওকে।’
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বিধায়কের এমন সাহায্য পেয়ে আপ্লুত অঙ্কিতও ৷ জানিয়েছেন এবার সম্পূর্ণরূপে খেলায় মন দিতে পারবেন৷ বিধায়কের এমন উদ্যোগ ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অনির্বাণ রায়