পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে মিনুর সঙ্গে রাজার বিয়ে হয়। দুই মাস আগে রাজা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে রাজ্যের বাইরে কাজে যান। বৃহস্পতিবার পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক চাপে মিনু বিষপান করেন বলে খবর। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে তাঁকে প্রথমে রশীদ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চার বছর পেরিয়ে গেল, এখনও নেই স্থায়ী ভবন! বাড়ছে পড়ুয়া, উপযুক্ত পরিকাঠামো চাইছে সকলে
পরিবারের অভিযোগ, গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সময়মতো চিকিৎসা করা হয়নি। সেই কারণে ওই নববধূর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সদের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে রাতে মিনুর মৃত্যু হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা। হাসপাতালের সামনে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইসি শান্তনু মিত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতাল চত্বরে RAF ও বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
বেশ কিছুক্ষণ পুলিশ ও মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বচসা হয়। পরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও গঙ্গারামপুর থানার আইসির নেতৃত্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। নববধূর মৃত্যুর এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।