সুমন কাঞ্জিলাল জানান, ভুটান থেকে নেমে আসা নদীর জলের সঙ্গেই প্রচুর ডলোমাইট প্রবাহিত হয়ে এসেছে যার ফলে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, ভুটান থেকে নেমে আসা জলের কারণেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, জলের সঙ্গে ডলোমাইট এসে ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে কৃষিজমিতে। আমি বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। এর আগে ভারত-ভুটান নদী কমিশন গঠনের দাবিতে কেন্দ্রের কাছে এক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব উঠেছিল বিধানসভা থেকে। তবে বিজেপির সাড়া না পাওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। এবার নতুন করে উত্তরবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য বিধানসভা পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে।’
advertisement
ডলোমাইট এবং পলি মিশ্রিত জল চা বাগানের ব্যাপক ক্ষতি করে, কারণ এটি গাছের শিকড় নষ্ট করে, মাটি অনুর্বর করে তোলে এবং অনেক ক্ষেত্রে গাছগুলি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দেয়, যা দীর্ঘদিন ধরে চা চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এটি চা গাছকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে অনেক গাছ উপড়ে যায় এবং জমিতে পলিস্তর জমে যায়। ভুটানের জলের সঙ্গে ডলোমাইট এসে জমে গিয়েছে ডুয়ার্সের চা বাগানে। জানা গিয়েছে, ওই সব বাগানগুলিতে আর চা গাছ হবে না। রাজ্যের সবচেয়ে বড় চা বাগান ১৬০০ হেক্টরের নাগরাকাটার চ্যাংমারি টি এস্টেট। সেখানে ডায়না নদীর জল ঢুকেছে। যার ফলে ফ্যাক্টরিতে রাখা ৬০ হাজার কেজি চা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের শুভাষিণী চা বাগানে ৯০ হেক্টরে ডলোমাইট জমে গিয়েছে। বামনডাঙা টন্ডু চা বাগান গোটাটাই জলের তলায়। সব মিলিয়ে ৫০টির বেশি চা বাগান ক্ষতিগ্রস্ত। ঘটনায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।