মহাকাল মন্দির নিয়ে বড় ঘোষণা করার পরেই তিনি জানান, দার্জিলিঙের মহাকাল মন্দিরে খুব ভাল পুজো দিয়েছেন তিনি। আপাতত দুর্যোগের ফলে পর্যটক আসা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ”বন্যার সময়ে প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে অনেক পর্যটককে প্রতিকূল অবস্থা থেকে বের করে এনেছে। প্রায় ১৫০০ পর্যটককে বের করা হয়েছিল সেই সময়ে। এখনও অনেকেই আসছেন। এখন দুটো রাস্তাই খোলা আছে। একটা তিনধারিয়া আর পাঙ্খাবাড়ি। আমি অনুরোধ করব পর্যটকরা যেন কোনও রকম ভয় না পেয়ে আবার পাহাড়ে আসে।”
advertisement
আরও পড়ুন: পূর্বজন্মের প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা! বুঝবেন কী ভাবে? জ্যোতিষের এই ১০ লক্ষণই সব বলে দেবে
প্রসঙ্গত, বর্ষণ ও ধসের ফলে গত কয়েকদিন ধরে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতায় বেশ কিছু রাস্তায় সংস্কারের কাজ শেষ করে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। বর্তমানে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি নামার দু’টি রাস্তা হিলকার্ট রোড ও পাঙ্খাবাড়ি রোড খোলা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য হিলকার্ট রোড দিয়ে তিনধারিয়া হয়ে সুকনার দিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দীপাবলির মধ্যেই অনেক রাস্তা যান চলাচলের উপযুক্ত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: রাত নামলেই ঘরে ঢুকে বিরক্ত করে, আলো নিভলেই ‘মৃত্যু’ শ্যামাপোকার! কী খায় এই পোকা? জানলে চমকে যাবেন
পর্যটকদের যাতায়াতে অনেকটাই সুবিধা হবে। মিরিকের দিকে যাওয়ার দুধিয়া সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সেখানে একটি অস্থায়ী বেলি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা চলছে। রাজ্যের পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন আগামী ৬-৭ দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী অনীত থাপাকেও নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে সমস্ত রাস্তার কাজ যথাযথ ভাবে হয়ে যায়। সেই ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখতে। এছাড়া সিকিম থেকে কালিম্পং-লাভা-লোলেগাঁও হয়ে শিলিগুড়ি নামার বিকল্প রাস্তা খোলা রয়েছে। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)- জানিয়ে দিয়েছে মিরিক ব্লক ও বিজনবাড়ি ব্লকের একাধিক রাস্তায় সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। সুখিয়োপোখরিতে সোনাদা থেকে মুনদা যাওয়ার রাস্তা ও মিলিং রোডও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে গরুবাথান, লাভা ও কালিম্পংয়ের ছোট রাস্তাগুলিতে কাজ চলছে।
