#উত্তর ২৪ পরগনা: কথায় আছে, 'রাখে হরি মারে কে'। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরলেন এক গৃহবধূ। বলা ভালো, নতুন করে জীবন ফিরে পেলেন তিনি। চলন্ত ট্রেন থেকে পরে গিয়েও নিজেই হেঁটে হাসপাতালে গেলেন চিকিৎসা করাতে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত হলেও চোট গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, লিপিকা সেনগুপ্ত নামে ওই মহিলা ট্রেনের মধ্যে থাকাকালীন শারিরীক অসুস্থতা বোধ করছিলেন। স্বস্তি পেতে ট্রেনের দরজার কাছে এসে বসে পড়েন হাওয়া পাবেন বলে। ট্রেনের সহযাত্রীরা তাকে অসুস্থ অবস্থায় ট্রেনের গেটের কাছ থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান। চলন্ত ট্রেনের হাওয়ায় কিছুটা সুস্থ বোধ করতেই তিনি গেটের কাছ থেকে সরে আসেন নি। ওই জায়গায় থাকার পর হঠাৎই শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বামনগাছি স্টেশনের ১৪ নং রেল গেটের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পরে যান। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছু সময় রেল লাইনের পাশেই পড়েছিলেন ওই মহিলা। খবর জানাজানি হতেই আহত ওই মহিলাকে বাঁচাতে ছুটে আসে আশপাশের বাসিন্দারা। তারা জানতে পারেন আহত ওই মহিলা বামনগাছির কুলবেড়িয়ার বাসিন্দা। খবর দেওয়া হয় তার ছেলেকে।স্থানীয়দের চেষ্টায় ওই মহিলার ছেলে মাকে হেঁটেই নিয়ে যান হাসপাতালে। তবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়েও তেমন ভাবে কোন আঘাত লাগেনি বলে প্রাথমিক ধারণা। বর্তমানে ওই মহিলা সুস্থ আছে বলেই জানান তার ছেলে সমীরণ। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরে অসুস্থ অবস্থায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ওই মহিলা।