গতকাল জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শ্যামনগরে তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন অর্জুন৷ সেখানেই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি৷ ব্যারাকপুরের সাংসদের মতে, ‘এজেন্সির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে আমাদেরও তৈরি থাকতে হবে৷’ এর পরেই দলের নেতাদের একাংশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যে লোকটা দু দিন আগে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়েছে অত্যাচার করেছে তাঁকে বুথে বসালে মানুষ গিয়ে অন্য কাউকে ভোট দেবে৷ কোনও নাক কাটা, কান কাটা, গাল কাটাদের বুথে বসতে দেওয়া চলবে না৷ মানুষ তাহলে মুখ ফিরিয়ে নেবে৷ যাঁরা সভ্য- ভদ্র, মায়েরা- দিদিরা যাঁরা কাউন্সিলর ছিলেন, কোনও কারণে টিকিট পাননি, তাঁদের বুথে বসাতে হবে৷’
advertisement
আরও পড়ুন:কংগ্রেসই ভরসা? লোকসভা ভোটে পা রাখার আগে ‘হাত’-এ হাত মেলাতে চায় সিপিএম
দলের নেতারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন বলেও আক্ষেপ শোনা গিয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদের মুখে৷ অর্জুন বলেন, ‘এখন আমরা পানের দোকান, চায়ের দোকানে বসছি না৷ ভেবে নিেয়ছি সবাই ভোট দিয়ে দেবে৷ আমাদের নব্বই শতাংশ পার্টি অফিসই খোলে না৷ সবাই এখন বাড়ি থেকে রাজনীতি শুরু করেছি৷ ভেবে নিয়েছি মানুষ আমাদের কথা শুনবেই৷ কিন্তু এরকম হয় না৷’
তবে এই প্রথম নয়, দল বদল করে তৃণমূসে ফেরার পর এর আগেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অর্জুন৷
অর্জুন সিংয়ের গতকালের মন্তব্যে কটাক্ষের সুরই শোনা গিয়েছে তাঁর নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখে৷ অর্জুনের আত্মসমালোচনা নিয়ে কুণাল বলেন, ‘অর্জূন সিং হলেন অমাবস্যা আর পূর্ণিমার গাঁটের ব্যথার মতো। কখন আসে আবার কখন চলে যায়।’ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অর্জুন সিং যখন তৃণমূল থেক বিজেপি কয়েকদিেনর জন্য বেড়াতে এলেন, তখন তিনিও গালকাটা ছিলেন৷ পরে গদাধর হয়েছেন৷ বিজেপি-তে থাকাকালীন তাঁর নামেই তো তৃণমূল ১০৭ টা মামলা ঝুলিয়ে দিেয়ছিল৷ ফলে কানকাটা, নাককাটার কথা তাঁর মুখে মানায় না৷’