প্রতি রবিবার এমন ছবির দেখা মেলে দু-নম্বর জাতীয় সড়কেও। বেআইনি বাইক রেসের খবর পুলিশেরও অজানা নয়। সখের বাইক রেসারদের ধরতেই গত রবিবার বর্ধমানের উল্লাসমোড়ে অভিযান চালায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। আটক হয় ৩৮টি বাইক। ধরা পড়ে বেশ কয়েকজন নাবালক বাইকচালক।
বাইক দুর্ঘটনা ঠেকাতে তৎপর রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষাও করা হয়েছে। সেই সমীক্ষার বিশ্লেষণ বলছে, ‘গত ৩ বছরে রাজ্যে বাইক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে ৷ বেড়েছে দুর্ঘটনায় বাইকচালকের মৃত্যুর সংখ্যাও ৷ দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের অধিকাংশই নাবালক ৷ রাজ্যে টু-হুইলার কেনার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে ৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও ৷’
advertisement
এই পরিস্থিতিতে মোটরবাইক বিক্রিতে নিয়ম আরও কঠোর করছে পরিবহণ দফতর। নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরবাইক কেনা যাবে না। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা পৌঁছে গেছে আরটিওগুলিতে। সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ।
বাইক ডিলারদের একাংশ অবশ্য লার্নার লাইসেন্সের ভিত্তিতেও বাইক বিক্রির পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। কিন্তু কোনও নাবালক যদি অন্য কারও বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরোয়, তাহলে তাকে ঠেকাবে কে? সেক্ষেত্রে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।