উচ্চমাধ্যমিক স্তরের মতোই মাধ্যমিক স্তরেও কাউন্সেলিং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে দ্রুত মেধাতালিকা প্রকাশের আবেদন নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন পরীক্ষার্থী মণিকা রায় ৷ ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের একটি মামলার জেরে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মেধাতালিকা পরিবর্তিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷
অন্য একটি মামলায় এসএসসি-এর মডেল উত্তরপত্র দেওয়া উত্তর নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা ৷ কুন্তল সামন্ত ও পীযুষ সেনাপতি সহ মোট ৬১ জন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে জানায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মডেল অ্যানসার ভুল ৷ কারণ- তাদের দেওয়া উত্তরই সঠিক ৷
advertisement
আরও পড়ুন
‘দেশের বাসিন্দা হয়েও রাতারাতি রিফিউজি ৪০ লক্ষ মানুষ’, NCR বিতর্কে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
মামলাকারীদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখর ববি সরাফ নির্দেশ দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তিনটি প্রশ্নে কমিশনের দেওয়া উত্তর ভুল ৷ এই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, মামলাকারীদের উত্তর সঠিক হলে তাদের ওই প্রশ্নের জন্য প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের নাম বিবেচনা করতে হবে ৷
উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক তিন স্তরেরই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব এই মুহূর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ঘাড়ে ৷ তিন স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ প্রায় ৩২ হাজারেরও কিছু বেশি ৷ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদের জন্য পরীক্ষায় বসেন প্রায় এক লাখ ৪৩ হাজার পরীক্ষার্থী ৷ উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৫ হাজার শূন্যপদের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ২৩ হাজার ৷ এই বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত এখন আইনি ফাঁসে আবদ্ধ ৷