চাঞ্চল্যকর এমনই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে৷ ওই তরুণী এবং তার বাপের বাড়ির লোকজনের তাণ্ডবের গোটাটাই সিসিটিভি-তে ধরা পড়েছে৷ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷
আরও পড়ুন: কলার ধরে পর পর চড় স্ত্রীর, বিয়ের পর করুণ অবস্থা রেলকর্মীর! ভিডিও ভাইরাল হতেই শায়েস্তা গৃহবধূ
জানা গিয়েছে, ৭০ বছর বয়সি ওই আক্রান্ত বৃদ্ধার নাম সরলা বাতরা৷ ছেলে বিশাল, পুত্রবধূ নীলিকা এবং নাতি নাতনিদের সঙ্গে গ্বালিয়রের বাড়িতে থাকতেন তিনি৷ ওই বৃদ্ধার অভিযোগ, তাঁর পুত্রবধূ গোটা সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চায়৷ সেই কারণেই তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিতে চান তাঁর পুত্রবধূ৷
advertisement
ঘটনার দিন পারিবারিক একটি ছোট বিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত৷ অভিযোগ, ক্রমাগত নিজের শাশুড়িকে গালিগালাজ করতে থাকেন নীলিকা৷ মায়ের প্রতি স্ত্রীর এই আচরণের প্রতিবাদ করেন বৃদ্ধার ছেলে বিশাল৷ তখন বাপের বাড়ি থেকে নিজের বাবা এবং ভাইকে ডেকে পাঠান ওই তরুণী৷ অভিযোগ, নীলিকার বাবা এবং ভাই এসেই বিশালের উপরে চড়াও হয়৷ তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা৷
ছেলেকে বাঁচাতে তখন এগিয়ে যান ওই বৃদ্ধা৷ সিসিটিভি ফুটেজে তখন দেখা গিয়েছে, সেই সময় প্রথমে বৃদ্ধাকে মেঝেতে ফেলে মারতে থাকেন তাঁর পুত্রবধূ৷ এর পর বৃদ্ধার চুলের মুঠি ধরে বৃদ্ধাকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে যান নীলিকা৷ বৃদ্ধা উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে ফের তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন ওই তরুণী৷ এর পরে ফের একবার সজোরে বৃদ্ধার মাথায় আঘাত করেন তিনি৷ এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য এক যুবক এসে নীলিকাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন, বৃদ্ধাকে মেঝে থেকে তোলার চেষ্টা করেন তিনি৷ এমন কি, এই ঘটনার কথা পুলিশকে জানালে নীলিকা নিজের স্বামী এবং শাশুড়িকে প্রাণে মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ৷
এই ঘটনা যখন ঘটছে তখন সেখানে একটি ছোট ছেলেকেও দেখা যায়৷ ওই ছেলেটি সম্ভবত নীলিকা এবং বিশালের সন্তান৷
যদিও এই ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও প্রথমে পুলিশ কোনও পদক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ৷ নীলিকা এবং তাঁর পরিবারের প্রভাবেই পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেনি বলে দাবি আক্রান্ত বৃদ্ধা এবং তাঁর ছেলের৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের উপর মহলে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ অভিযোগ নেয়৷ দায়ের হয়েছে এফআইআর৷ পুলিশের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে, আদর্শ কলোনির বাসিন্দা ওই তরুণী নিজের শাশুড়ি এবং স্বামীকে মারধর করেছেন৷ সেই অভিযোগ এবং সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা৷