অগাস্ট,২০২০ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে ফেডারেশন। চার, ছয়, আট, দশ, বারো, চোদ্দো চাকার ট্রাক রাস্তায় নামা নিয়ে সংশয় বাড়িয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি। রাজ্য জুড়ে ৬.৫ লক্ষ ট্রাক ছড়িয়ে রয়েছে। ন্যাশনাল পারমিট রয়েছে ৫০০০০ ট্রাকের। বাকি ট্রাক রাজ্যের পারমিট যুক্ত। রাজ্যে প্রায়৬ চাকার ট্রাক ২ লক্ষ, ১০ চাকার ট্রাক ১ লক্ষ, ১২ চাকার ১ লক্ষ এবং ১৪ চাকার ট্রাক ৫০০০০। জনতা কার্ফু দিন থেকে বসে যায় অধিকাংশ ট্রাক। লকডাউন ফেজ কাটিয়ে আনলক পর্বে সচল হয় ৪ লক্ষ ট্রাকের চাকা। তবে এখনও পথে নামতে পারেনি ২.৫ লক্ষ ট্রাক। তবে ট্রাক পণ্য পরিবহন না করলেও রোড ট্যাক্সের টাকা গুনতে হচ্ছে ট্রাক মালিকদের।
advertisement
'১১০৯' ট্রাকের কোয়ার্টারলি রোড ট্যাক্স ২২০০ টাকা। ৬ চাকার রোড ট্যাক্স ২৭০০ টাকা, ১০ চাকার ৫৫০০টাকা, ১২ চাকার ট্রাকের রোড ট্যাক্স ৮০০০-৮৫০০ টাকা আর ১৪ চাকার ট্রাকের রোড ট্যাক্স ১১০০০ টাকা। চালক, খালাসি পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতা জুগিয়ে রোড ট্যাক্স মিটিয়ে রাস্তায় ট্রাক চালানো এখন অসম্ভব। ফেডারেশনের সম্পাদক সজল ঘোষে'র কথায়, "ডিজেল ৭৫ টাকা বেশি দামে কিনে ট্রাক চালানো সম্ভব নয়। লকডাউনে রোড ট্যাক্স মুকুবের আবেদন করেছি রাজ্য সরকারের কাছে কোনও উত্তর পাইনি। এই অবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে ৪০ টাকার কর নিচ্ছে প্রতি লিটার ডিজেল থেকে। হয় তেলের দাম কমাতে হবে কর ছাড় দিয়ে না হলে
রোড ট্যাক্স মুকুব করতে হবে।"
মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে ফেডারেশন। বিষয় আনলক পর্বে তেলের দামবৃদ্ধি অবস্থায় ট্রাক চালানো হবে কিনা। চাংড়াবান্ধা সীমান্ত বন্ধ। সেখানে ৫০০০ ট্রাক আটকে রয়েছে। হাজার হাজর চালক,খালাসি আটকে দীর্ঘদিন। সবমিলিয়ে লকডাউনে রোড ট্যাক্স, তেলের দামবৃদ্ধি, চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত সিল নিয়ে অসন্তোষের পাহাড় জমেছে ট্রাক মালিকদের। সেক্ষেত্রে সরকারের দিক থেকে কোনও সাড়া না মিললে অগাস্ট মাস থেকে ট্রাক ধর্মঘটের আশঙ্কা।
Arnab Hazra