৪৫ বছর বয়সী স্বামী রামু (নাম পরিবর্তিত), পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি ভারতীয় ন্যায় সন্হিতা (BNS)-এর ৮৭ ধারার অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা একজন মহিলাকে অপহরণ বা প্ররোচিত করার অপরাধের সাথে সম্পর্কিত।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! পরিত্যক্ত বাড়ির ফ্রিজ থেকে উদ্ধার মানুষের কঙ্কাল ও হাড়! জানুন হাড়হিম করা ঘটনাটি…
advertisement
রামু জানিয়েছেন যে তিনি তার স্ত্রী রাজেশ্বরী এবং ছয় সন্তান নিয়ে হারপালপুরে থাকেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী, ৪৫ বছর বয়সী এক ভিখারি, নাম ননহে পণ্ডিত, তাদের পাড়ায় মাঝে মাঝে ভিক্ষা করতে আসতেন এবং প্রায়ই তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেন।
পরে তাদের মধ্যে ফোনে কথোপকথন শুরু হয়। রামু অভিযোগ করেন, “৩ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় আমার স্ত্রী রাজেশ্বরী আমাদের মেয়ে খুশবুকে বলেছিল যে সে বাজারে কাপড় এবং সবজি কিনতে যাচ্ছে। কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি। আমি তাকে চারদিকে খুঁজেছি কিন্তু খুঁজে পাইনি। আমার সন্দেহ, ননহে পণ্ডিত তাকে নিয়ে পালিয়েছেন।” রামু আরও জানান, তার স্ত্রী বাড়ি ছাড়ার সময় গৃহস্থালির জন্য বিক্রি করা একটি মহিষের টাকা নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: করিনা, রনবীর কাপুর তাঁর হাতেই হয়েছেন! ৯৫-তে চলে গেলেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত বিখ্যাত এই ডাক্তার…
পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে এবং অভিযুক্ত ননহে পণ্ডিতকে খুঁজছে। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সন্হিতা (BNS)-এর ৮৭ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে। এই ধারা অনুসারে,
“যে কেউ কোনো মহিলাকে অপহরণ বা প্ররোচিত করে তাকে বিয়েতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে, বা এই জেনেও যে তাকে বেআইনি যৌন সম্পর্কের জন্য বাধ্য করা হবে, তাকে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানার শাস্তি দেওয়া হবে।”
এই ধারা আরও বলে, “যে কেউ অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন বা ক্ষমতার অপব্যবহার বা অন্য কোনো বাধ্যতামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো মহিলাকে কোনো জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে প্ররোচিত করে, এই জেনেও যে তাকে বেআইনি যৌন সম্পর্কের জন্য বাধ্য করা হতে পারে, তাকেও একই শাস্তি দেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় হারদই জেলার স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।