কর্মচারীদের নগদে বেতন দিলেও কালো টাকা সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ নোটবাতিলের পর বহুক্ষেত্রেই এককালীন বেতন দিয়ে শ্রম ‘কিনে’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ অসংগঠিত ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ উঠেছে ভুরিভুরি ৷ এই প্রথম নয়, নগদে বেতন মেটানো তুলে দিতে, গত অধিবেশনেই বিল আনে সরকার।
- ১৫ ডিসেম্বর লোকসভায় বেতন প্রদান সংশোধনী বিল পেশ করেন শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়
advertisement
- আইনের ৬ নং ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে
- নিয়োগকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, চেক বা ইলেট্রনিক্স পদ্ধতিতে বেতন দিতে হবে
- ফের ওই বিল উঠবে আগামী বাজেট অধিবেশনে
- তার আগেই অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
- অর্ডিন্যান্সের আয়ু ৬ মাস
কেন্দ্রের এই নয়া উদ্যোগ বাস্তবে কতটা কার্যকরী করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। কারণ, দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামো নেই ৷ দেশের সর্বত্র কি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বাড়ানো হবে? চা বাগান, অস্থায়ী শ্রমিক-সহ একাধিক অসংগঠিত ক্ষেত্রে বহু শ্রমিক কাজ করেন ৷ তাঁদের সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই ৷ তাঁদের বেতন কীভাবে দেওয়া হবে?
ক্যাশলেস অর্থনীতির স্বপ্ন আর বাস্তবে অবশ্য আসমান-জমিন ফারাক। প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের ঘোষণার মধ্যে অন্যতম ছিল দেশে ক্যাশলেস অর্থনীতি চালু। তা চালু করতে এদিন ফের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এবার থেকে হাতে হাতে নগদে বেতন দেওয়া যাবে না কর্মচারীদের। নগদে পারিশ্রমিক মেটানোর ব্যবস্থা তুলে দিতে ক্যাশলেস ব্যবস্থার অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের বেতন সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিতে হবে ৷ চেকের মাধ্যমেও দেওয়া যাবে বেতন ৷ আগে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন দিতে কর্মচারীর অনুমতি লাগত ৷ এখন কর্মচারীর অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই ৷ আটঘাট বেঁধে আশি বছরের পুরনো আইন তুলতে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, ক্যাশলেসের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।