অতুল সুভাষ বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। কর্পোরেট অফিসে চাকরি করতেন। অভিযোগ, স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সীমাহীন অত্যাচারের মুখে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন তিনি। ৯ ডিসেম্বর তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইডাল নোট। সামনে আসে একটি ভিডিও।
advertisement
তারপর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। অনেক নির্যাতিত পুরুষই মুখ খুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই দেশে আইন মেয়েদের পক্ষে, পুরুষরা নির্যাতিত হয়েও ন্যায় বিচার পান না। এসবের মধ্যেই অতুল সুভাষের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। সেখানেই এমন হুমকির মুখে পড়তে হল তাঁদের।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উপরের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অতুল সুভাষের শ্যালক অনুরাগ এবং তাঁর মা অর্থাৎ অতুলের শাশুড়ি নিশা সিঙ্ঘানিয়া। আঙুল উঁচিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্ক করছেন তাঁরা।
নীচ থেকে সাংবাদিকরা জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় অতুলের শ্বশুরবাড়ির মত জানতেই তাঁরা এসেছেন। কিন্তু নিশা এবং অনুরাগ সে সব শুনতে নারাজ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ক্যামেরা বন্ধ করতে হবে।
সাংবাদিকরা যখন জামাইয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁদের কিছু বলার অনুরোধ করেন, তখন ব্যালকনি থেকে অনুরাগ হুমকির সুরে বলেন, “আমরা নিজে এসে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেব। কিন্তু এভাবে যদি কাজ করেন, তাহলে ভাইসাহাব বড় ভুল হয়ে যাবে।” অনুরাগ সাফ জানিয়ে দেন, আইনজীবী ছাড়া তিনি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন না।
এই ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম এক্সে সেই ভিডিও পোস্ট করে এক ইউজার লিখেছেন, “জামাইয়ের মৃত্যুতে এঁদের কোনও দুঃখ নেই, অনুশোচনা নেই। আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টাটুকুও করছে না। উল্টে রিপোর্টারদের শাঁসাচ্ছে। এখনও অহংকার দেখাচ্ছে। যেন তারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে।”
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরই তাঁর ভাই বিকাশ কুমার দাদার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন। তাতে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া, মা নিশা সিঙ্ঘানিয়া, দাদা অনুরাগ সিঙ্ঘানিয়া এবং কাকা সুশীল সিঙ্ঘানিয়াকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ এবং ৩ (৫) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।