মুখ্যমন্ত্রীর রোজকার অভ্যাসের মধ্যে প্রথমেই থাকে ঘুম থেকে ওছার পর সকালে ট্রেড মিলে হাঁটা৷ শুধু কলকাতায় কেন, জেলা সফর বা রাজ্যের বাইরে গেলেও সুযোগ পেলেই ট্রেডমিলে ঘাম ঝরিয়ে নেন তৃণমূলনেত্রী৷
আরও পড়ুন: ‘মোদি-শাহ-শুভেন্দু-সুকান্ত নয়! বিজেপি কর্মী সাহায্য চেয়েছেন আমার কাছে’, দাবি অভিষেকের
তবে শুধু ট্রেডমিলে হাঁটা নয়, একটানা হাঁটার ক্ষেত্রে নিজের থেকে বয়সে অনেক ছোটদের, এমন কি পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা বা দলের নেতাদেরও বলে বলে গোল দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এখনও বেশ কয়েক কিলোমিটার টানা হাঁটা তাঁর কাছে জলভাত৷ তা সে কলকাতার রাস্তা হোক বা দার্জিলিংয়ের খাঁড়া পথ৷
advertisement
ট্রেডমিলে হাঁটা ছাড়াও কলকাতায় থাকলে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বাড়ির সামনের ছোট্ট মন্দিরে শিব ঠাকুরকে প্রণাম করাটাও কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে থাকেন, সেই ঘরের বাইরের দেওয়ালেই এই শিব মন্দির। যা বহু পুরনো। দিন অন্তত দু’বার এই মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে শিবঠাকুরকে প্রণাম করেন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময়। সন্ধেয় বাড়ি ফেরার সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় থাকলে এই নিয়মে ছেদ পড়ে না।
আবার প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের আগে নিয়ম করে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাড়ির কাছের এই কালীঘাট মন্দিরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে৷ তাই এই নিয়মেও অন্যথা হয় না৷ আবার সম্প্রতি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এ ছাড়াও প্রতি বছর বাড়ির কালীপুজোয় তো প্রায় একা হাতেই সবকিছু সামলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুজোর আয়োজন থেকে অতিথি আপ্যায়ন, সবদিকেই নজর থাকে তাঁর৷ বছর বদলায়, চ্যালেঞ্জ বদলায়। মুখ্যমন্ত্রীর রুটিন বদলায় না।