সূত্রের খবর, জামুই সদর থানা এলাকার লাখাপুর গ্রামের বাসিন্দা ভগীরথ সিংয়ের মেয়ে কোমল। অন্য দিকে সোনি কুমারী চাপরা জেলার বাভঙ্গমার বাসিন্দা জগন্নাথ পান্ডের মেয়ে। কোমল এবং সোনি উভয়েই একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন শুরু করেছিলেন এবং ধীরে ধীরে তা প্রেমে পরিণত হয়েছিল। ৭ বছর ধরে একে অপরকে জানার পরে, তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৩ সালে পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে নেন দুই নারী। দু’জনেই যখন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন তখন জানাজানি হয়ে যায়। পরিবার হস্তক্ষেপ করে। দুই নারীর দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
advertisement
কোমল কুমারী ৪ বছর আগে লক্ষীসরাই জেলার একটি গ্রামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। তাঁদের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। অন্য দিকে, সোনি কুমারী ২০২০ সালে পাটনার একজন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কোমল এবং সোনি উভয়েই একে অপরের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানতেন, কিন্তু তবুও একটি সম্পর্ক শুরু করেন। এর পর তাঁরা বাড়ি থেকে পালানোর পরিকল্পনা করেন। পরিবার ছেড়ে নতুন করে তাদের জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন। সোনি চাপড়ায় ছিলেন, আর কোমল তাঁকে ডাকলেন জামুই আসতে। দু’জনেরই পালিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তাঁদের স্বজনরা ধরে ফেলেন এবং পুলিশকে জানান।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই নারীকে থানায় নিয়ে আসে। তারা কোমল ও সোনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দুই মহিলাই জানিয়েছিলেন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে জীবন কাটাতে চান। কিন্তু, দুর্ভাগ্য হল, তাঁদের স্বামীরা এখনও তাঁদের ডিভোর্স দেননি। ঘটনার আকস্মিক পরিণতিতে উভয় মহিলাই যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- বলুন তো দেখি, কোন প্রাণীর রক্তের রং হলুদ? উত্তর দিতে পারবেন না ৯৯ শতাংশ…
সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায়। এ ক্ষেত্রে সম্পর্কে তাঁরা পিসি এবং ভাইঝি। তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর একে অপরকে বিয়ে করেছেন তাঁরা। বেলওয়া গ্রামের একটি মন্দিরে রেকর্ড করা দম্পতির ভিডিওতে দম্পতিকে মালা বদল এবং ঐতিহ্যবাহী হিন্দু আচার পালন করতে দেখা গিয়েছে। গলায় মঙ্গলসূত্র পরে আগুন সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরেছেন তাঁরা।