advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ ধরে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করায় প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন বুধবার। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির ভিতর তিনটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতরা হলেন, রাজনি সিং, প্রেম সিং এবং তাঁদের ছেলে ঋতিক। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) অঙ্কিত চৌহান বলেন, ‘আমরা তিনটি মৃতদেহ দেখতে পাই। দু’জন পুরুষ এবং একজন মহিলা। প্রায় ৪৫-৫০ বছর বয়সী এক পুরুষ, তার স্ত্রী এবং ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারে চতুর্থ সদস্য সিদ্ধার্থের খোঁজ চলছে। খুনের পর থেকে সে পলাতক।’ পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকটি মানসিক ব্যাধিতে ভুগছিল এবং তার চিকিৎসা চলছিল। সেই তার বাবা-মা ও ভাইকে খুন করেছে বলে অনুমান।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ট্যাংরার দে পরিবারের ঘটনায় শিউরে ওঠে গোটা শহর। ১২ ফেব্রুয়ারি এম বাইপাসে মেট্রোর স্তম্ভে ধাক্কা মারে দে পরিবাররে গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূণ দে, বড় ছেলে প্রণয় দে এবং প্রণয়ের নাবালক পুত্র। এরপরেই তদন্তে নেমে উঠে গোটা পরিবারের মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবারের তিন সদস্য রোমি দে, সুদেষ্ণা দে এবং প্রিয়ম্বদাকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছোট ছেলে প্রসূণের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা যায়, তিনটি দেহ বাড়িতে রেখে প্রতীপ ও তার বাবা প্রণয়কে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন প্রসূন। ভোরে তাঁদের গাড়ি বাইপাসের ধারে মেট্রোর স্তম্ভে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় তিন জনই গুরুতর জখম হন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন তাঁরা। সুস্থ হয়ে ওঠার পরে খুনের অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় প্রসূনকে। বর্তমানে গ্রেফতার হল প্রণয়কেও। এই ঘটনায় যেন তারই ছায়া দেখতে পাচ্ছে গোটা দেশ।