আরও পড়ুন– পৌষে এখনও অমিল শীত, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা, ফের ঠান্ডা বাড়বে কবে থেকে?
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরণের খেলাধুলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিব্যাঙ্গজনদের মানসিক বিকাশের পাশাপাশি দেহ ও মনের সুস্থতা বাড়ায়। খেলাধুলার মাধ্যমে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যাবসায়, দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ এবং দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। তিনি বলেন, এই ‘খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমস’-এ দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেট, দাবা, ক্যারম, ফুটবল ইত্যাদি বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান সরকার দিব্যাঙ্গজনদের সার্বিক সুবিধা ও সহয়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস ও প্রয়াস এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে এই সরকার কাজ করছে। দিব্যাঙ্গজনদের সহায়তায় খেলাধুলা, শিক্ষা-সহ সর্বক্ষেত্রে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাইটস অফ পার্সন্স উইথ ডিজেবিলিটিস রুলস- ২০১৮ তে সরাসরি নিয়োগ ও পদন্নোতির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ এবং সরকারি অনুদান প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে ও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সংরক্ষণের সংস্থান রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ১৮ জনকে ইউনিক ডিজেবিলিটি আইডেন্টিটি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৯৮ জন দিব্যাঙ্গজনকে মাসিক ২ হাজার টাকা করে সামাজিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আগে ৮০ শতাংশ ও তার বেশি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা সামাজিক ভাতার আওতায় আসতেন। বর্তমানে রাজ্যে ৬০ শতাংশ ও তার বেশী যোগ্য দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের সামাজিক ভাতার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার দিব্যাঙ্গজনদের সুবিধার্থে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করেছে। তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (ডা.) মানিক সাহা ত্রিপুরা পলিসি ফর এমপাওয়ারমেন্ট অফ পার্সন্স উইথ ডিজেবিলিটিস ২০২৪ প্রকাশ করেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতি দিব্যাঙ্গ শিক্ষার্থীদের চিফ মিনিস্টারস মেধা পুরস্কার প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাদের হাতে চেক তুলে দেন। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে দু’জন দিব্যাঙ্গজন ব্যাক্তিকে ইউনিক ডিজেবিলিটি আইডেন্টিটি কার্ড এবং দু’জন দিব্যাঙ্গজনকে সামাজিক ভাতা প্রদান করা হয়।