আগরতলার শহীদ ভগৎ সিং যুব আবাসে লাভার্থী সম্পর্ক অভিযান সম্পর্কিত ত্রিপুরা প্রদেশ আয়োজিত কর্মশালায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের সম্বোধন করতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এধরণের কর্মশালা আমাদের বাস্তবিক অর্থে কাজে দেবে। সামাজিক মাধ্যমে আপডেট থাকা সম্পর্কে এই কার্যক্রমে বিস্তারিতভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি, শিখতে পেরেছি। কী ভাবে বিভিন্ন প্রোগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে তার বিস্তৃত রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে এই কর্মশালার মাধ্যমে। সেই সঙ্গে অনলাইন এবং অফলাইন সম্পর্কেও বিশেষ ধারনা দেওয়া হয়েছে।”
advertisement
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ত্রিপুরা সরকার ফোর জি সলিউশন প্রজেক্ট নামে একটা স্কিম এনেছে। এক্ষেত্রে কোথাও নেটওয়ার্ক না পেলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। এজন্য প্রায় ১২৫টি টাওয়ার স্থাপন করা হবে। এই সমস্যাও অচিরেই সমাধান করা হবে। ডাঃ সাহা বলেন, এই কয়েকদিনে বিভিন্ন জায়গায় লাভার্থী সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ চোখের জল ফেলে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন আর বলছেন আমরা কোনোদিন ভাবিনি যে মুখ্যমন্ত্রী এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। মানুষ শুধু চায় মানবিকতাবোধ। মানবিক হয়েই তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। জনসংযোগের পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক আর সমর্থন আদায় করতে হবে। এটাই ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম লক্ষ্য।
এদিন কর্মশালায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, “এই পার্টির মুখ্য উদ্দেশ্য সেবা। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। সেবা ও সমর্থনের চিন্তাভাবনা ছাড়া কিছু হবে না। পন্ডিত দীন দয়াল জি মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করার জন্য মার্গ দর্শন দিয়েছেন। সেই ভাবনাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। একাত্ম মানববাদের দিশা দেখিয়ে গিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ আমরা সবাই এক। তিনি আমাদের ভারতবর্ষের ঐতিহ্য, কৃষ্টি সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সত্যিকার অর্থেই তিনি ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে নিবেদিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ ত্রিপুরা বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।