বিজেপি ত্রিপুরা ও অসম প্রদেশের নতুন সংগঠন সাধারণ সম্পাদক তথা সংগঠন মহামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জি আর রবীন্দ্র রাজু। তিনি সদ্য প্রাক্তন সংগঠন সাধারণ সম্পাদক ফনিন্দ্রনাথ শর্মার জায়গায় এসেছেন। ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির তরফে নবনিযুক্ত সংগঠন সাধারণ সম্পাদকে অভ্যর্থনা এবং বিদায়ী সংগঠন সাধারণ সম্পাদককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
রাজধানী আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্রের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জি আর রবীন্দ্র রাজু, ফনিন্দ্রনাথ শর্মা, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মন প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অন্যান্য নেতৃত্ব সংগঠন সাধারণ সম্পাদকে অভ্যর্থনা এবং বিদায়ী সংগঠন সাধারণ সম্পাদককে সংবর্ধনা জানান।
advertisement
এদিনের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা বলেন, সদ্য প্রাক্তন সংগঠন মন্ত্রী ফনিন্দ্র নাথ শর্মার কাছ থেকে প্রদেশ নেতৃত্ব অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি ২০১৭সাল থেকে রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন। বিজেপির জয়ের পিছনে তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সংগঠনের প্রয়োজনে তিনি সব সময় কাজ করেছে। তেমনি নতুন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত জি আর রবীন্দ্র রাজু একই ভাবে সংঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন রাজ্যের দুটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ যে কোন দিন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তবে এই দুটি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুইটি আসনে ২০১৯সালের তুলনায় বিজেপি প্রার্থীরা আরো বেশী ভোটে জয়ী হবেন। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না, কারণ সকল বিরোধী দল একসাথে হয়েছে এবং এরাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিআইএম এক জোট হয়েছে। তারা একজোট হলেও কোনও লাভ হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। জাতীয় স্তরে ওরা ইন্ডিয়া নাম দিয়ে একজোট হওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইন্ডিয়া লেখা নামের প্রতিটি অক্ষরের পর ফুলস্টপ দিয়েছে। যেখানে নিজেরাই বিখন্ডিত সেখানে তারা কী করে একসঙ্গে জয়ী হবে বলেও প্রশ্ন তুলে।
এমনকি এদের অনেকে দেশ বিরোধী কথাবার্তাও বলে থাকেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে থেকে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন নতুন কর্মস্থল হরিয়ানাতে তা কাজে লাগাবেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে মন্ত্রী বিধায়কদের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকেও নেতৃত্বরা এসেছিলেন।