রবিবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হয়েছে ত্রিপুরায়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত হচ্ছে। চলতি বছরেই আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ চালু হবে। আগরতলা রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণে ২৩৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে।’’
advertisement
ত্রিপুরার মোট তিনটি রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিকীকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরমধ্যে রয়েছে উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন, কুমারঘাট রেলওয়ে স্টেশন ও ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশন। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে সারা দেশে ৫০৮টি রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা খুবই অভূতপূর্ব। তাঁর হাত ধরে সারা দেশে মোট ৫০৮টি রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিকীকরণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে। আগে ত্রিপুরার মানুষ কখনও ভাবতে পারেননি যে রেল যোগাযোগ ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য এতদূর এগিয়ে যাবে। ষাটের দশকে ধর্মনগরে মিটার গেজ ট্রেনের সূচনা হয়েছিল। তখন অনেকেই সেই ট্রেন দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন। আবার নানা মহল থেকে এটাও বলা হয়েছে রেল নাকি বহু আন্দোলনের ফসল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব নেন তখন থেকেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চলের চেহারাই বদলে গিয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতি জনজাতির মধ্যে ঐক্যের বন্ধন অটুট হয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা আরও বলেন, ‘‘এর আগে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীও এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ত্রিপুরা দ্রুত উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আগরতলা, উদয়পুর হয়ে সাব্রুম পর্যন্ত রেল চালু হয়েছে। রেলওয়ে লাইন এখন আগরতলা হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ বছরই আগরতলা থেকে বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ চালু হবে। এতে মাত্র ১০ ঘণ্টায় বাংলাদেশ হয়ে কলকাতায় পৌঁছানো যাবে। যা কোনওদিন ভাবা যায়নি। আর এটা সম্ভব হচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সদর্থক চিন্তাভাবনার কারণে।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন, কুমারঘাট রেলওয়ে স্টেশন ও ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ৯৬ কোটি টাকার অধিক অর্থ মঞ্জুর হয়েছে। এর পাশাপাশি আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ২৩৫ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। এতে এসকালেটর থেকে শুরু করে আধুনিক শৌচালয়-সহ বিভিন্ন উন্নত মানের ব্যবস্থা রাখা থাকবে।’’
রেল যোগাযোগ পরিষেবায় ত্রিপুরাকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে ত্রিপুরা থেকে ১২/১৩টি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন বাইরের রাজ্যে চলাচল করছে। আক্ষরিক অর্থেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সার্থকতা এসেছে রাজ্যে, বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।