টুইটারে ডেরেক লিখেছেন, “সংসদ ভবন শুধুমাত্র নতুন একটি নির্মাণ নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে রয়েছে পুরনো ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, প্রথা এবং বিধি। সংসদ গণতন্ত্রের ভিত। প্রধানমন্ত্রী মোদির সেটা জানা নেই। তাঁর কাছে রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন আমি, আমার, আমার নিজের এসব। ফলে আমাদের এর বাইরে রাখুন।” প্রসঙ্গত, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, আপ-ও এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করবে বলে জানিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কেবলমাত্র পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসই নয়! বড় কাজ করলেন শুভেন্দু অধিকারী
বিরোধীদের বক্তব্য, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ এবং সরকারের একবারে শীর্ষে থাকেন রাষ্ট্রপতি৷ ফলে নতুন সংসদ ভবন তাঁকে দিয়েই উদ্বোধন করানো উচিত। যদিও মঙ্গলবার কংগ্রেস তথা বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। তাঁর বক্তব্য, ” নতুন সংসদ ভবনের সমালোচনা থেকে শুরু করে, অনেকেই আগে এর প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, অথচ কাজ করেননি। আজ কংগ্রেস সভাপতি সহ অনেকেই লক্ষ্যবস্তু পিছিয়ে দিচ্ছেন সংবিধানের অনুচ্ছেদের ভুল ব্যাখ্যা করে।”
তাঁর বক্তব্য, “তাঁদের মনে রাখা উচিত ১৯৭৫ সালের ২৪ অক্টোবর সংসদ ভবনের অ্যানেক্স ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। ১৯৮৭ সালের ১৫ অগাস্ট সংসদ ভবনের লাইব্রেরির উদ্বোধন করেছিলেন রাজীব গান্ধি।” এই অনুষ্ঠানে সকলের শামিল হওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ট্যাগ করা পাল্টা সংবিধানের অনুচ্ছেদের পাতা ট্যুইট করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার মুখ্য সচেতক মণিকাম টেগোর। সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ট্যুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, নতুন সংসদ ভবন কেন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন?
তাঁর বক্তব্য ছিল, সংসদ হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাষ্ট্রপতিই দেশের সরকার, বিরোধী পক্ষ এমনকি, প্রতিটি নাগরিকেরও প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি সংবিধানের রক্ষক। তিনিই সংসদের যৌথ অধিবেশনের উদ্বোধন করেন। এক্ষেত্রে, নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিরই সংসদ ভবন উদ্বোধন করার কথা। একইসঙ্গে খাড়্গের অভিযোগ, দলিত, আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করা যে বিজেপি ও আরএসএসের নির্বাচনী চমক ছিল, তা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রাজীব চক্রবর্তী