বহুদিন ধরেই হিডমার খোঁজ চলছিল। অবশেষে মঙ্গলবার পুলিশের হাতে আসে মাওবাদী কমান্ডার। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে পশ্চিম গোদাবরী জেলার মারেদুমিলির জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে মাওবাদীদের শীর্ষনেতা হিডমা-সহ ছ’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হিডমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। ২৬টিরও বেশি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল হিডমা।
advertisement
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই অভিযানে যুক্ত কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হিডমাকে ন্যায়বিচারের আওতায় আনার জন্য গৃহমন্ত্রী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলেন। নির্ধারিত সময়ের ১২ দিন আগেই নিরাপত্তাবাহিনী সেই লক্ষ্য অর্জন করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মারেদুমিলির জঙ্গলে পুলিশ চিরুনি তল্লাশি শুরু করার পরই পালটা গুলি চালায় মাওবাদীদের দল! দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে ওঠে অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং তেলঙ্গানার সীমানায় বিস্তীর্ণ জঙ্গল।
আরও পড়ুন:গুজরাতে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুন! মর্মান্তিক মৃত্যু এক দিনের শিশু-সহ ৪ জনের
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার বছর ৪০-এর হিডমা, ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার পুবর্তী গ্রামের বাসিন্দা। মাওবাদী ব্যাটেলিয়নের প্রধান হিসাবে মহিলা-সহ প্রায় ১৮০ থেকে ২৫০ জনের দলকে নেতৃত্ব দিত সে। মাওবাদীদের দণ্ডকারণ্য বিশেষ আঞ্চলিক কমিটিরও সদস্যও ছিল হিডমা। গোয়েন্দাদের দাবি, মাওবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব থেকে তরুণ সদস্য হিডমা। তবে তার সাম্প্রতিক কালের কোনও ছবিই নাকি পাওয়া যায় না। ভীম মাণ্ডবী খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ২০১০ সালে দন্তেওয়াড়ায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল হিডমা-ই। সেই হামলায় ৭৬ জন আধাসেনার মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৩ সালে ঝিরাম ঘাঁটিতে হিডমার নেতৃত্বে হামলা চালায় মাওবাদীরা। সেই হামলায় কংগ্রেসের কয়েক জন শীর্ষ নেতা-সহ ২৭ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে হিডমার অধীনেই সুকমা-বিজাপুরে মাওবাদী হামলা হয়, সেই হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।
