গত কয়েকদিন ধরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জম্মু-কাশ্মীরের পুুলওয়ামা জেলা ৷ সেনাকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি চালায় জঙ্গিরা ৷ লস্কর কমান্ডার আবু দুজানার মৃত্যুর পর আক্রমণ আরও বেড়ে গিয়েছে ৷ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হিসেবেই পরিচিত ছিল আবু ৷ তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয় ৩০ লক্ষ টাকা ৷ তল্লাশি অভিযানের সময় সেনা-জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় আবুর ৷ আপাতত থেমেছে গুলির লড়াই ৷ কিন্তু সেনাদের সন্দেহ আরও ২-৩ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে ৷ তাই তল্লাশি অভিযান জারি রাখা হয়েছে ৷ জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়া বাড়িটি উড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয় ৷ তাই পরিবর্তে এবার ডিএনএ পরীক্ষার ভাবনা সেনাদের ৷
advertisement
নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তথ্য ছিল, পুলওয়ামার হাকরিপোরা গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। এরপরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তারা তল্লাশি শুরু করে। সে সময় গুলি চালাতে শুরু করে একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। জবাবে গুলি ছোঁড়েন জওয়ানরাও, শুরু হয় সংঘর্ষ।দুজানা ওরফে হাফিজ লস্করের তথাকথিত ডিভিশনাল কমান্ডার ছিল।
কে এই আবু দুজনা ?
- মাত্র ১৭ বছর বয়সেই লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয় আবু ৷
- উল্কার মতোই উত্থান হয়েছিল আবুর ৷
- গিলগিট-বালতিস্তানের বাসিন্দা হলেও দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত সে ৷
- খুব অল্প দিনেই নিজের বুদ্ধি এবং দক্ষতার জন্য জঙ্গি গোষ্ঠীতে বড় স্থান পায় সে ৷ আবু কাসিমের ডেপুটি পদে নিযুক্ত করা হয় তাকে ৷
- আবু কাসিমের মৃত্যুর পর দুজনাই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হাতে একমাত্র বিকল্প ৷
- বর্তমানে অবশ্য অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলার মাস্টারমাইন্ড আবু ইসমাইলকেই লস্করের গুরুত্বপূ্র্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷
- আবু দুজনার নাম পাম্পোর, উধমপুর ছাড়াও আরও বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় উঠে এসেছিল ৷
- উধমপুর হামলার ছক কষার বিষয়ে অন্যতম ছিল আবু দুজনা ৷