আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলায় পুরসভা নির্বাচন৷ তার আগে এ দিন তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ করেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, অর্পিতা ঘোষ, ইন্দ্রনীল সেন, সোহম চক্রবর্তীরা৷ তৃণমূলের অভিযোগ নামে মডেল সিটি হলেও সিসিটিভি লাগানো ছাড়া আগরতলার কোনও উন্নয়নই হয়নি৷ বাম আমলের মতো বিজেপি-র পুরবোর্ডের আমলেও আগরতলার নাগরিক পরিষেবা উন্নত হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷
advertisement
তৃণমূলের ইস্তেহারে আগরতলাবাসীর জন্য করের বোঝা লাঘব করা থেকে শুরু করে নারী সুরক্ষার মতো বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ মূলত ন'টি ইস্যুর উপরে জোর দিয়েছে তারা৷
কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে?
- আগরতলার রাস্তাঘাটকে খানা খন্দ মুক্ত করে উন্নত করা৷
- আগরতলার ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে৷
- আগরতলার ৯টি পুর বাজারের মানোন্নয়ন৷ আগরতলার চার জায়গায় বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে৷
- সাধারণ মানুষের উপর থেকে কমানো হবে করের বোঝা৷
- আগরতলার শ্মশানে দু'টি গ্যাস চালিত চুল্লির বদলে বৈদ্যুতিন চুল্লির ব্যবস্থা করা হবে৷
- প্রতিটি রাস্তায় ৩০০ মিটার অন্তর আলোর ব্যবস্থা করা৷ তিরিশটি প্রধান মোড়ে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানো হবে৷
- তিনটি ধাপে সাতশো সিসিটিভি-তে মুড়ে দেওয়া হয়েছে আগরতলা শহরকে৷ গোটা শহরে টহল দেওয়ার জন্য পাঁচটি ডেডিকেটেড ভ্যান৷
- নারী নিরাপত্তায় চালু করা হবে মহিলা চালিত পিঙ্ক ট্যাক্সি এবং পিঙ্ক অটো৷
- জন অভিযোগের নিষ্পত্তির ব্যবস্থা৷ কলকাতার মতোই নিজেদের অভিযোগ, সমস্যা নিয়ে সরাসরি মেয়রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন আগরতলার মানুষ৷
এ দিন ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে বার বারই তৃণমূল আমলে গত এগারো বছরে কলকাতার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতারা৷ তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি, তারা ক্ষমতায় এলে আগরতলাবাসীর উপর থেকে করের বোঝা কমানো হবে, রাজস্ব আদায়ের অর্ধেক শহরের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে৷
ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে আগরতলা পুরনির্বাচন তৃণমূলের কাছে বড় পরীক্ষা৷ আগরতলা সহ ত্রিপুরার পুরভোটে তাই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির৷ ত্রিপুরায় গিয়ে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন তৃণমূলের এ রাজ্যের একাধিক বিধায়ক সহ তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা৷ প্রচারের জন্য বেশ কয়েকজন তারকা বিধায়ক, সাংসদকেও ত্রিপুরায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ এর সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে৷ পুরভোটের প্রচারের শেষ পর্যায়ে ফের আগরতলা যাবেন অভিষেক৷