চিঠিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, অবিজেপি দল শাসিত রাজ্যে যে কোনও ছোটখাটো ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হস্তক্ষেপ করে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়। অথচ মণিপুরের পরিস্থিতি ভয়ানক হওয়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? কোন একটি রাজ্যের (কর্ণাটক) নির্বাচনী প্রচার যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি অন্য একটি রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা৷ ফলে মণিপুরের অশান্তি বন্ধ করতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠদের’ নামে অ্যাকাউন্ট…! পাশবুক থেকে চেকবুক ‘একজনের’ জিম্মায়! ইডির চমকে দেওয়া দাবি
তৃণমূলের অভিযোগ, দেশের এক প্রান্তের একটি রাজ্য যখন অগ্নিগর্ভ, সেখানকার মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে সেখানে অপর প্রান্তের একটি রাজ্যে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই সঙ্গে মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
এ দিকে শান্তি ফেরাতে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল৷ বৃহস্পতিবার মণিপুরের রাজ্যপালের পক্ষ থেকে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হল৷ গত ৩ মে মণিপুরে একটি আদিবাসী সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তীব্র অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে৷ সেই ঘটনার জেরে হিংসাত্মক ঘটনা শুরু হয়৷ তাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মণিপুরের রাজ্যপালের পক্ষ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সাব-ডিভিশনাল অফিসার ও সমস্ত একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও স্পেশাল এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের এই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷
মণিপুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ এখনও পর্যন্ত ৫ কলাম সেনা ও অসম রাইফেলস-এর সেনা মণিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে৷ আরও ১৪ কলম সেনা আপাতত প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার মানুষকে উপদ্রুত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ আরও অনেক মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খোঁজ মিলেছে৷ বুধবার ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ নােম একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চুরচন্দপুরে দফায়-দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়৷