মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এর লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা সর্বদল বৈঠক যোগ দিয়েছিলেন। রবিবার বৈঠক থেকে বেরিয়ে নিউজ 18 বাংলা-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "তৃণমূল সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। কংগ্রেস কেন সব সময় বিরোধী শিবিরের বৈঠক ডাকবে ? কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যাবে না তৃণমূল।" এরপর আরও একধাপ এগিয়ে সুদীপ জোর গলায় বলেন, "আগে নিজেদের ঘর সামলা কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে সরকার পড়েছে। পাঞ্জাবে দল ভাঙছে। রাজস্থানে সরকার পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছে। তাই ওদের উচিত অন্যদের কথা না ভেবে আগে নিজেদের দলের কথা ভাবা।"
advertisement
তৃণমূলের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল নিউজ 18 বাংলা। লোকসভার দলনেতা জানিয়েছেন, "সংসদীয় রাজনীতির রীতি, প্রথা এবং সৌজন্যের কারণে বিরোধী শিবিরের বৈঠকে তৃণমূলকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী গত বর্ষাকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। বিরোধী শিবিরে ছিলেন। এখন শীত অধিবেশনে তিনি বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। এতে আমাদের কিছু করার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ঠিক করতে হবে তিনি কার সঙ্গে থাকবেন।"
আরও পড়ুন: ১ আসনে জয়ী, অধিকাংশতে দ্বিতীয়, ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী হয়ে উঠল তৃণমূল?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে সকাল সাড়ে ন'টায় কংগ্রেসের রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের দপ্তরে প্রায় ১৮ টি বিজেপি বিরোধী দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস। যার মধ্যে রয়েছে সপা, এনসিপি, শিবসেনা, ডিএমকে, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, এনসি-র মতো দলগুলো। অধীর জানিয়েছেন, "সংসদে আলোচনার জন্য সরকারি বিল এর পাশাপাশি বিরোধীদের তরফেও অনেক বিষয় রয়েছে। এবার অধিবেশনে মাত্র ১৯ দিন পাওয়া যাবে। তাই আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, হয় আলোচনার সময় বাড়ানো হোক অথবা অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হোক।
আরও পড়ুন: বাজিমাত বিজেপির, দ্বিতীয় তৃণমূল! ত্রিপুরার ফলে 'খেলা শুরুর' হুঁশিয়ারি অভিষেকের
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের অপেক্ষাকৃত ভালো ফল প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, "মোদিভাই ও দিদিভাইয়ের মধ্যে এমনটাই চলবে। ত্রিপুরায় বাংলা মডেল কাজ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করে তাদের ধ্বংস করে একচ্ছত্র ক্ষমতা কায়েম করেছে তৃণমূল। একইভাবে ত্রিপুরাতেও বিজেপি বাংলার মডেল অনুসরণ করেছে সেখানে বিজেপি ও তৃণমূলের শত্রুদের ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। মোদি বলেছিলেন বাংলা দখল করতে যাচ্ছি দিদি বলেছিলেন ত্রিপুরা দখল করতে যাচ্ছি আসলে কেউই দখল করতে যাননি।"