তৃণমূলের তরফে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দেন রাজ্যসভার দুই সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং জহর সরকার।
একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন রঞ্জন গগৈ। সেখানে তিনি বলেন, "আপনি একটা বিষয়কে গুরুত্ব দিলেন না যে, আমি একটা বা দুটো অধিবেশনে কোভিডের কারণে উপস্থিত থাকব না জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। গত শীতকালীন অধিবেশনের কিছুদিন আগে পর্যন্ত আরটিপিসিআর টেস্ট করে তবেই সংসদভবনে যাওয়া যেত। আমি সেখানে যাওয়া স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করিনি। যেভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তাতে আমি স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করিনি।" প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির আত্মজীবনী প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রবল চর্চা শুরু হয়েছে। তা নিয়েই একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন রঞ্জন গগৈ। সেখানে তাঁকে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, তাঁর শপথ নেওয়ার পর থেকে ৬৮টি সভায় কেন তিনি মাত্র ৬টিতে হাজির থেকেছেন। এর উত্তরে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সাংসদ বলেন, "আপনি একটা বিষয়কে গুরুত্ব দিলেন না যে, আমি একটা বা দুটো অধিবেশনে কোভিডের কারণে উপস্থিত থাকব না জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। গত শীতকালীন অধিবেশনের কিছুদিন আগে পর্যন্ত আরটিপিসিআর টেস্ট করে তবেই সংসদভবনে যাওয়া যেত। আমি সেখানে যাওয়া স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করিনি। যেভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তাতে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করিনি।"
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি, ইউনেসকোর ঘোষণায় তিলোত্তমার ঐতিহ্য
এখানেই থামেননি তিনি। রঞ্জন গগৈ আরও বলেছেন, "আমার যখন মনে হবে, তখনই আমি রাজ্যসভায় যাব। যখন আমার মনে হবে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেটা নিয়ে আমার বলা প্রয়োজন, তখনই আমি সংসদে যাব। আমি একজন মনোনীত সদস্য, কোনও দলের সদস্য বা তাদের হুইপের প্রতি দায়বদ্ধ নই। যে কারণে, কোনও দলের অপেক্ষা করতে হয় না আমায়। আমি স্বেচ্ছায় সেখানে যাব এবং বেরিয়ে আসব। আমি সংসদের একজন স্বাধীন সদস্য।"
আরও পড়ুন: 'প্রত্যেক ভারতবাসীর অন্তত একবার কলকাতার দুর্গাপুজো দেখা উচিৎ': নরেন্দ্র মোদি
তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দাবি, কোনও ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদে থাকলে রাজ্যসভার সাংসদ পদের থেকে বেশি বেতন ও সুযোগ সুবিধা পেতেন তিনি।
RAJIB CHAKRABORTY