পুরুলিয়ার সভা থেকে তিনি হুঁঙ্কার ছেড়েছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে আপাতত তাই নিয়েই চলছে জোরকদমে রাজনৈতিক তরজা ৷ বিগত কয়েকটি উপনির্বাচন ও সম্প্রতি শেষ হওয়া ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রবল রক্তক্ষরণের জেরেই দ্বিতীয় স্থানেই উঠে এসেছে বিজেপি যদিও প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের বিচারে অনেক পিছিয়েই বিজেপি ৷
advertisement
বাংলা দখলের স্বপ্ন অনেকদিন আগে থেকেই বিজেপি দেখতে শুরু করেছে, তবে এখন তা চরমে ৷ গতকালই বঙ্গ সফরে রাজ্য বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসন জেতার লক্ষে ঝাঁপাবার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তবে তা কতকানি বাস্তব সম্মত তা প্রমাণ করবে সময়েই ৷
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বা বিগত কয়েকটি উপনির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বলা যেতে পারে যে বাম ও কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসিয়ে বিজেপির ভোট বেড়েছে ৷ বিজেপি-র এই উত্থানে আপাতত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের চিন্তার তেমন কিছু নেই ৷ ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে চলেছে বা আসতে পারে সেটা কম বেশি অনেকেই সেই সময়ে মেনেছিলেন সেই সময়ে ৷
২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যে ক্ষমতায় আসার ট্রেলার কিন্তু ২০০৮ সালের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই বোঝা গিয়েছিল ৷ ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ১ আসন থেকে ১৯টি জয়লাভই সেই সম্ভাবনাকে আরও প্রকট করেছিল ৷
সেই দিক থেকে বিচার করলে রাজ্যে বিজেপির ক্ষেত্রে তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি ৷ তবে পাল্টেছে দিনকাল, পাল্টেছে রাজনৈতিক কৌশল ৷ আমরা আমাদের মত হিসেব নিকেশ করতেই পারি কিন্তু শেষ কথা বলবে সময়ই ৷