রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা-সহ একাধিক ইস্যুতে লা গণেশনের ভূমিকায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায় পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতাকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে অখিল গিরি ইস্যুতে লা গণেশনের 'নীরব' ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মোজার মধ্যে এ কী নিয়ে যাচ্ছিলেন যাত্রী! কলকাতা এয়ারপোর্টে ধরা পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের
advertisement
অখিল গিরিকে বরখাস্তের ইস্যুতে রাজ্যপাল লা গণেশনের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেছিলেন, "উনি রাজভবনে নেই৷ তা উনি ইম্ফলে থাকুন বা দিল্লিতে থাকুন। আমরা চাই, ই-মেইলে বা অন্য কোনও ভাবে, কীভাবে জানি না, অখিল গিরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উনি মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিন।" বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ' শীঘ্রই জগদীপ ধনকরেরর যোগ্য উত্তরসূরী পাবো আমরা'। এই আবহেই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করা হলো। আর এই নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তায় নিজেদের ওয়াল ভরিয়ে দেন সুকান্ত- শুভেন্দু- দিলীপ সহ একাধিক পদ্ম নেতা। শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান সি ভি আনন্দ বোসেকে।
সুকান্ত মজুমদার শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন,' আমি নিশ্চিত রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য কাজ করবেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ নবনিযুক্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব ও দক্ষ প্রশাসক বলে উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, ' রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পুনরায় স্থিতিশীল করতে আপনি অগ্রণী ভূমিকা নেবেন সেই আশা রাখি'। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলতে গেরুয়া শিবিরের নেতারা যেভাবে পদে পদে জগদীপ ধনখড়ের সহায়তা পেয়েছেন, যে কোনও কারণেই হোক গণেশনের থেকে এখনও তা অধরা৷ কালীপুজোর দিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যাওয়া কিম্বা সম্প্রতি লা গণেশনের আমন্ত্রনে তাঁর পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেন্নাই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই রাজভবনের সঙ্গে পদ্ম ব্রিগেড সম্পর্কে তাল কাটে। এরপর অখিল গিরিকে বরখাস্ত ইস্যুতে রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে সংঘাত আরও প্রকট হয় পদ্ম শিবিরের, মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।