সরকারি সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার গভীর রাতে চত্তরগালা এলাকার অস্থায়ী অপারেটিং ঘাঁটিতে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। ঘটনার পরই নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
জঙ্গিরা হামলা চালাতেই পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে সেনাও। ডোডায় শুরু হয় গুলির লড়াই। ঘটনায় ৬ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে স্থানীয় জঙ্গী সংগঠন কাশ্মীর টাইগার্স। পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ এই সংগঠনকে মদত যোগায় বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীর টাইগার্সের তরফে দাবি করা হয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
মঙ্গলবার রাতে দোগা এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সেনা। সেই সময়ই আচমকা হামলা করা হয় বলে সরকারি সূত্রে খবর। কাঠুয়া ও রিয়াসির ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তৃতীয়বার জঙ্গি হামলার এই ঘটনা ঘটল ভূস্বর্গে।
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার একটি বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এরপর ৯ জুন তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলা করে জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম ৩৩ জন। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডোডায় নিরাপত্তা কর্মীদের চেকপোস্টে হামলা চালাল জঙ্গিরা।
৪ মে পুঞ্চে ভারতীয় বায়ুসেনার কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ডোডার হামলার তাদেরই কাজ বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছে। ঘোষণা করা হয়েছে মাথার দাম।
জম্মু-কাশ্মীরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ আনন্দ জৈন বলেন, “এটা প্রতিবেশী শত্রু দেশের কাজ, যারা সর্বদা আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। এটা (হীরানগর সন্ত্রাসী হামলা) নতুন অনুপ্রবেশ বলে মনে হচ্ছে। একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে, আরেকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে”।