নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর সঙ্গারেড্ডি জেলায়৷ ধৃত ওই মহিলার নাম রাজিথা৷ তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা৷ জানা গিয়েছে, গত মাসে নিজের তিন সন্তানকে রাতের খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেন ওই মহিলা৷ পুলিশের সন্দেহ এড়াতে নিজেও ওই বিষ মেশানো খাবার কিছুটা খান তিনি৷
আরও পড়ুন: প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে খুন, তার পর অন্তঃসত্ত্বা! মেরঠের জেলে মুসকানের বন্ধু এখন সঙ্গীতা
advertisement
ঘটনার সময় মহিলার স্বামী চেন্নায়া বাড়িতে ছিলেন না৷ নাইট ডিউটি ছিল তাঁর৷ পরের দিন সকালে বাড়িতে ফিরে নিজের তিন সন্তানকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি৷ তাঁর স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ দ্রুত তাঁদেরকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন ওই যুবক৷ কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা শিশু তিনটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ যদিও প্রাণে বেঁচে যান তাদের মা৷
তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে মহিলার স্বামীর উপরে৷ কারণ একমাত্র তিনিই ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না৷ পুলিশ তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করে৷ যদিও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতেই অন্য রহস্য উন্মোচন করেন তদন্তকারীরা৷
পুলিশ জানতে পারে, স্বামী নন, বরং পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ওই তরুণী নিজেই তাঁর তিন সন্তানকে খুনের পরিকল্পনা করেন৷ সম্প্রতি স্কুলের একটি রিইউনিয়নে নিজের এক পুরনো সহপাঠীর সঙ্গে ফের পরিচয় হয় ওই তরুণীর৷ সেই বন্ধুত্ব কিছু দিনের মধ্যে প্রেমে পরিণত হয়৷ রাজিথা ঠিক করেন, সংসার ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করবেন তিনি৷ কিন্তু নতুন জীবন শুরু করার পথে তাঁর তিন সন্তান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে, এ রকম ভাবনা থেকেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা কষেন ওই স্কুল শিক্ষিকা৷
ঘটনাচক্রে মেরঠের ঘটনার ক্ষেত্রেও স্কুলের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে নিজের পুরনো বন্ধুর সাহিল শুক্লার সঙ্গে আলাপ হয় মুসকানের৷ এর পর ঘনিষ্ঠ হয় তারা৷ শেষ পর্যন্ত সাহিলকে সঙ্গে নিয়েই নিজের স্বামীকে খুন করেছিল মুসকান৷ তেলঙ্গনার এই স্কুল শিক্ষিকা নিজের স্বামীর বদলে তিন সন্তানকেই সরিয়ে দিলেন৷