অসুস্থতার কারণে, গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলনের রাস্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি (Syed Ali Shah Geelani)। গত বছরই তিনি হুরিয়ত কনফারেন্সের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন (Hurriyat leader)। তারপর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকতেন। তাঁকে শ্রীনগরের হায়দারপোরে দাফন করতে চায় তার পরিবার।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি দলের নেত্রী মেহবুবা মুফতি ট্যুইট করে বলেন, 'গিলানি সাহেবের মৃত্যুর খবরে মর্মাহত। আমরা হয়ত অধিকাংশ বিষয়ে একমত নই, কিন্তু তাঁর অবিচলতার জন্য এবং তার বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কামনা করি, আল্লা যেন তাকে জন্নতে জায়গা দেন এবং তার পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।'
পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি যুব মোর্চার মুখপাত্র তথা কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের নেতা সাহিল টিকু। তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, 'যদি সৈয়দ আলি শাহ গিলানি আমাদের শৈশব, আমাদের বাড়ি নিয়ে যা করেছিলেন তা স্মরণ করি, তাহলে আমার আনন্দিত হওয়া উচিত। কিন্তু আমি ভাল মূল্যবোধে বড় হয়েছি। তাই আমি শুধু প্রার্থনা করতে পারি যাতে জাহান্নামে আপনি আপনার পাওনা পেয়ে যান।'
প্রসঙ্গত, কট্টরপন্থী ই ইসলামি নেতা, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির মুখ ছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। ১৯৯০-এর দশক থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কাশ্মীরে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের উৎখাতের পিছনেও তার সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। আজীবন তিনি হুরিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে, অসুস্থতার কারণে, গত বছরই রাজনীতি ত্যাগ করেছিলেন।