সেই বৈঠকের পর শুভেন্দু দুজনের ছবি পোস্ট করে ট্যুইটারে লিখেছেন, 'নীতিন গড়কড়ি সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। আমি তাঁকে নন্দীগ্রাম-হলদিয়া উড়ালপুল ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অগ্রগতি নিয়ে অনুরোধ করেছি। তিনি আমাকে নিশ্চিত করেছেন, এই বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার।'
মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি পৌঁছেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। সাক্ষাৎ করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও। ঠিক কী কারণে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি। তবে, এবারের দিল্লি সফরের শুরুতেই শুভেন্দু নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহণ মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: প্রার্থী ঠিক হয়নি, ভবানীপুরে কৌশল ঠিক করে ফেলল বিজেপি! বড় দায়িত্বে অর্জুন সিং
তবে, সরকারি এই বৈঠক ছাড়াও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লি গেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। রাজ্যপালের শুভেন্দুর একদিন আগে দিল্লি যাওয়া নিয়েও জোর চর্চা চলছে রাজধানীতে। প্রাথমিক ভাবে বিজেপির একটি অংশ বলছে, উপনির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনার জন্য শুভেন্দুকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। নন্দীগ্রামের পর ভবানীপুর কেন্দ্রেও দল বললে ভোটে দাঁড়াতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর দিল্লি সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।