এদিন দিল্লিতে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুস্মিতা দেব। সেখানেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আগামী দুই সপ্তাহ ধরে অসম ত্রিপুরা আসবেন তিনি। সন্তোষ মহোন দেবের কন্যা হাতের তালুর মতো দুইটি রাজ্য কে চেনেন। দুই রাজ্যেই তার জনপ্রিয়তা তুমুল। এই দুই রাজ্যে সম্প্রসারণ চাইছে তৃণমূল। ঠিক এই সময়ে সুস্মিতার উঠে আসা টা রাজনৈতিকভাবে তুমুল তাৎপর্যপূর্ণ। সুস্মিতার মতো অভিজ্ঞ নিতাই যে এই দুই রাজ্যে পথ দেখাতে পারে তা তৃণমূল খুব ভালোভাবেই বুঝেছে আর সেই মতই তাকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
advertisement
কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর পরিবারের চার প্রজন্মের সম্পর্ক। এ হেন সিদ্ধান্তে সেই সম্পর্ক ছিন্ন হবে না বলেই মনে করেন সুস্মিতা। বরং তাঁর যুক্তি এ একরকম গাঁটছড়া। এদিন সুস্মিতা প্রকাশ্যেই মন্তব্য় করেন, ভবিষ্যতে রাহুল গান্ধী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগলবন্দি নতুন পথ দেখাবে।
এদিন সুস্মিতার মুখে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়ষী প্রশংসা শোনা যায়। তিনি বলেন," আমার বাবার সঙ্গে মমতাদির সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। ২০০৬ সালে ওকালতি করতাম। তখন মমতাদির একটানা ২৬ দিনের অনশন আমার মনকে নাড়া দিয়েছিল। শেষ বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে এনে সুস্মিতার যুক্তি, মমতাদি যে সাহস দেখিয়েছেন, যে কাজ করে দেখিয়েছেন তা অন্য কেউ পারে বলে মনে হয় না।"
২০২৪-এর বিরোধী জোট নিয়ে গোটা দেশে আলোচনা। তার আগে এ হেন জার্সিবদল জোটস্বার্থের পরিপন্থী নয় তো! সুস্মিতা কিন্তু কোনও রকম ভাবেই কংগ্রেসের প্রতি কোনও অসূয়া প্রকাশ করছেন না। তাঁর এই সিদ্ধান্ত যেন রাজনীতির ভাষায় স্ট্র্য়াটেজিক মুভ। তাই তিনি স্পষ্ট বলছেন, "ভবিষ্যতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধীর আশীর্বাদ নিয়ে চলব।"
Reporter: রাজীব চক্রবর্তী