উত্তরপ্রদেশে এনপিআর প্রক্রিয়ায় ৪০ লক্ষকে সন্দেহভাজন নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ বুধবার সিএএ শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সিএএ প্রক্রিয়া উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সিএএ ও এনপিআর প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে অন্যান্য পিটিশনরদের মধ্যে রয়েছেন অভিষেক মনু সিংভিও৷
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ সরকার রিফিউজি ও অভিবাসীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ আগে থেকেই শুরু করেছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসকরা এই কাজ করছেন৷ উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা জানান, ৩২ হাজার অ-মুসলিম, যাঁরা নাগরিকত্ব পেতে পারেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তবে কী ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তাঁদের, সেই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে খোলসা করেননি মন্ত্রী৷
advertisement
সিংভি সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, দু সপ্তাহ আগে উত্তরপ্রদেশে মানুষদের টিক মার্ক বা ক্রস মার্ক দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, 'সন্দেহভাজন, ভেরিফাই করতে হবে৷ এই ধরনের প্রক্রিয়া গত ৭০ বছরে ভারতে হয়নি৷ কেন আরও দু মাস অপেক্ষা করা হল না৷ কোনও আইন তৈরি হয়নি, তাতেও এই প্রক্রিয়া চলছে৷ কোনও আইন ছাড়াই, উত্তরপ্রদেশে ৪০ লক্ষ মানুষকে সন্দেহভাজন নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ১৯টি জেলায় এটা হয়েছে৷ ওঁরা ভোট দেওয়ার অধিকার হারাবেন৷ দয়া করে এই প্রক্রিয়া স্থগিত করুক সুপ্রিম কোর্ট৷ আমাদের প্রার্থনা এটা৷ না-হলে এর জেরে প্রচুর অশান্তি ও নিরাপত্তহীনতা তৈরি হবে৷'
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী কে ভি বিশ্বনাথনও বলেন, এনপিআর প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হলে, তা শুধু মুসলিম নয়, হিন্দুদের জন্য সমস্যার বিষয়৷
যদিও কেন্দ্রের দাবি, এনআরসি-র প্রথম পর্যায় এনপিআর নয়৷ যদিও সিএএ বা এনপিআর প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও রিলিফের আবেদন অনুমোদন করেনি সুপ্রিম কোর্ট৷ তবে অসম ও ত্রিপুরার আবেদন স্পেশাল গ্রাউন্ডে দেখা হচ্ছে বলে জানায় শীর্ষ আদালত৷ এরপরই আবেদনকারীরা অনুরোধ করেন, উত্তরপ্রদেশের বিষয়টিও স্পেশাল গ্রাউন্ডে দেখা হোক৷ তখন প্রধান বিচারপতি বোবদের পর্যবেক্ষণ, কিছু বিষয় পৃথক ভাবে দেখা হবে৷