১.পূর্ববর্তী আদেশ স্থগিত।
২.সমস্ত পথ কুকুরকে আগের জায়গায় পুনর্বাসন (রিলোকেশন) করতে হবে, তবে রেবিসে আক্রান্ত কুকুরদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না।
৩.প্রতিটি ওয়ার্ডে পৌর কর্তৃপক্ষকে কুকুরদের খাবার দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি বা চিহ্নিত করতে হবে।
৪.অন্য কোথাও কুকুরকে খাওয়ানো যাবে না। অসংগঠিতভাবে খাবার দেওয়া অনুমোদিত নয়, কারণ এতে সাধারণ মানুষের সমস্যার হয়।
advertisement
৫.আইন ভাঙার অভিযোগ জানানোর জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করতে হবে।
৬. কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।
৭. এনজিওদের প্রত্যেককে ২৫,০০০ টাকা দিতে হবে, যা পরিকাঠামো তৈরির জন্য খরচ করা হবে। তাদের তরফের আর কোনও অতিরিক্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
তবে যে সব কুকুর র্যাবিস আক্রান্ত তাদের আশ্রয়কেন্দ্রেই রেখে দিতে হবে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে দিল্লির পথকুকুর সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। এর আগে দুই সদস্যের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, দিল্লির রাস্তা থেকে সমস্ত পথকুকুরকে সরিয়ে দিতে হবে। দেশের অধিকাংশ জনগণ, পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি এই রায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এরপরে এই রায়। পুরনো রায়ের বিরুদ্ধে সরব ছিল গোটা দেশের পশুপ্রেমীরা। তীব্র বিরোধিতা করে তারা জানায়, রাস্তায় প্রতিটি প্রাণীর মতো কুকুরদেরও সমান অধিকার আছে। তাদেরকে অন্যায়ভাবে সরানো চলবে না। গর্জে উঠেছেন কলকাতার পশুপ্রেমীরাও। সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গেই পা মেলান পশুপ্রেমী সেলেবরাও।