নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া স্থগিত করল না সুপ্রিম কোর্ট৷ তবে কমিশনকে দিল বিশেষ পরামর্শ৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি হিসাবে আধার, ভোটার এবং রেশন কার্ডকেও প্রামাণ্য হিসাবে বিবেচনা করার পরামর্শ দিল সর্বোচ্চ আদালতের৷
advertisement
বিহারে ভোটার তালিকায় নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) চালুর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল আবেদন৷ প্রক্রিয়ার স্থগিতাদেশ চেয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি ও গোপাল শঙ্কর নারায়ণন। কমিশনের তরফে সওয়াল করেন কেকে বেণুগোপাল, রাকেশ দ্বিবেদী এবং মনিন্দর সিং।
আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, ২০০৩ সালকে কাট-অফ ধরে নাগরিকত্ব যাচাই করা হচ্ছে, যা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং নির্বাচন বিধির কোথাও উল্লেখ নেই। সেখানে আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের মতো নথিকে বৈধ পরিচয় হিসেবে মানা হচ্ছে না। অথচ যে নথিই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিহারবাসীর কাছে রয়েছে। অভিভাবকের নাগরিকত্ব প্রমাণ দিতে বলা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর ও একতরফা। অভিষেক মনু সিংভি আবেদন জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে এই প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে সব পক্ষকে নোটিস জারি করার জন্য৷ যদিও সেই দাবি খারিজ করেছে আদালত৷
আরও পড়ুন: কখনও ভেবে দেখেছেন…কত স্পিড হলে ট্রেন সুপারফাস্ট হয়? এক্সপ্রেসই বা হয় কিসের ভিত্তিতে?
কমিশন জানিয়েছে— আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় ৷ তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগে আদালতকে জানানো হবে, কারও নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্য নেই কমিশনের। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই৷
কমিশনের কাজে যৌক্তিকতা রয়েছে, কিন্তু, সময়টা ঠিক নয় বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই বিহারের এই ভটার তালিকা সংশোধন প্রতিক্রিয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই ভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ আসলে বিজেপি-র ‘চাল’ বলে মনে করছেন বিরোধীরা৷ এ নিয়ে এককাট্টা হে দেখা গিয়েছে ইন্ডিয়া জোটকেও৷