এ দিন শীর্ষ আদালত সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, রামদেব এবং বালকৃষ্ণ নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তাতে বিচারপতিরা সন্তুষ্ট নন৷ পতঞ্জলির বেপরোয়া মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এহসানুদ্দিন আমাহাদুল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু সুপ্রিম কোর্ট নয়, দেশের যে কোনও আদালতের নির্দেশকেই প্রত্যেককে সম্মান করতেই হবে৷ বাবা রামদেব এবং আচার্য বালাকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা যথাযথ ভাবে আদালতে হলফনামা জমা করেননি৷
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামীকে পদ থেকে সরাল কমিশন, ভোটের আগেই বড় পদক্ষেপ
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বাবা রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালাকৃষ্ণ৷ তাঁদের সামনেই দুই বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কোভিডের সময় যখন পতঞ্জলির পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছিল যে অ্যালাপাথি চিকিৎসায় কোভি়ড সংক্রমণ সারে না, তখন কেন কেন্দ্রীয় সরকার চোখ বন্ধ করে বসেছিল?
গত ১৯ মার্চ রামদেব এবং বালাকৃষ্ণকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত৷ পতঞ্জলির বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে তাদের সংস্থার বিভিন্ন পণ্যের রোগ নিরাময়ে কার্যকারিতা সম্পর্কে যে দাবি করা হয়, সেই সংক্রান্ত মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ যেহেতু পতঞ্জলির বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনে বাবা রামদেবকে দেখা যায় এবং তিনি ওই সমস্ত পণ্যের হয়ে প্রচার করেন, সেই কারণে তাঁকেও নোটিস পাঠানো হয়৷ এ দিন মামলার শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতি পর্যবেক্ষণে জানান, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনগুলি দেশের আইনের পরিপন্থী৷
শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাবা রামদেব এবং আচার্য বালাকৃষ্ণের আইনজীবীদের বারংবার অনুরোধের পর পতঞ্জলিকে যথাযথ হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ এপ্রিল৷ ওই দিনও বাবা রামদেব এবং আচার্য বালাকৃষ্ণকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে৷