তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা। তিনি বলেন, "আজ রাজ্যপালের উপরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাজ্যের সরকারের বিরোধিতা করছেন রাজ্যপাল। কেন বিরোধিতা করা হবে না?" সুকান্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের হলেও তাঁর আচার্য রাজ্যপাল। অথচ, তাঁকে না জানিয়েই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নিয়ম মানা হয়নি বলেও দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকসভায় দাঁড়িয়ে এ কী বললেন মহুয়া! লজ্জিত বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনিরও
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অধ্যাপক ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলে, তবেই তিনি উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা লাভ করেন। পাশাপাশি, উপাচার্য হতে হলে তাঁর একাধিক গবেষণাপত্র থাকাও বাধ্যতামূলক। অথচ, সুকান্তর অভিযোগ, কলেজের প্রিন্সিপালকেই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম নীতি।
আরও পড়ুন: সংসদে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনায় তৃণমূল, কথা বলতে দফায় দফায় বাধা মহুয়া মৈত্রকে
এরপরেই তাঁর কটাক্ষ, "এমন ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষপদে বসানো হয়েছে, যিনি এখন জেলে রয়েছেন। যে উপাচার্যের হাত থেকে আমি শংসাপত্র নিয়েছি, তিনি জেলে। অথচ, এই পশ্চিমবঙ্গেই শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখান থেকেই অতীশ দীপঙ্করের মতো শিক্ষকেরা অন্য জায়গায় পড়াতে যেতেন। এখান থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পড়াতেন শিক্ষকেরা। সেই শিক্ষকের চাকরি এখন বিক্রি করা হচ্ছে।"
তার পরেই সুকান্তের তোপ, শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডে শুধুমাত্র প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই নন, জেলের অন্দরে পাঠানো হবে বাকি দোষীদেরও। সুকান্ত বলেন, "তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড যিনি জেলের বাইরে বসে রয়েছেন, আজ নয় কাল তাঁকেও জেলে যেতে হবে। এটা নরেন্দ্র মোদির সরকার, চুরি করলে শাস্তি পেতেই হবে।"